হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
Advertisement
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনার মামলা ও সম্প্রতি মোদিবিরোধী সহিংসতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
Advertisement
তিনি বলেন, রাজধানীর আগারগাঁও এলাকা থেকে সন্ধ্যায় হেফাজতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের 'ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি' ছিলেন। এছাড়া তিনি ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৮২ সালে ছাত্রশিবিরকে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলে জামায়াতের সঙ্গে আদর্শিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আহমদ আবদুল কাদের। এরপর শিবির থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি ইসলামী যুবশিবিরের প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তদানীন্তন খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী যুবশিবির একীভূত হয়ে আব্দুল গফফারকে আমির ও ভাষা সৈনিক মাসউদ খানকে মহাসচিব এবং আজিজুল হককে অভিভাবক পরিষদের সভাপতি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গঠিত হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০০১ সালে গঠিত চার দলীয় জোটের আন্দোলনের লিয়াজো কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সে সময় তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন।
Advertisement
১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নীতিগত কারণে দু’ভাগ হয়ে যায়। একভাগ পূর্ব নামেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়। আর আরেক ভাগ খেলাফত মজলিস নামে নিবন্ধিত হয়। তখন থেকে তিনি খেলাফত মজলিসের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির নির্বাচিত হন।
টিটি/জেডএইচ/এমকেএইচ