ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, আট বছর পার হয়ে গেলেও রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার কোনো বিচার হয়নি। নির্মম এই ঘটনার অভিযোগপত্র দিতেই পার হয়েছে তিন বছর।
Advertisement
তারা আরও বলেন, ভবন মালিক সোহেল রানা ব্যতীত অভিযোগপত্রের ৪১ জন আসামির আর কেউ কারাগারে নেই। শ্রমিক হত্যার জন্য এদেশে কোনো শাস্তি পেতে হয় না রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া তারই উদাহরণ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আট বছর পূর্তিতে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
সকাল ৯টায় জুরাইন কবরস্থানে স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, সুলতান আহমেদ, মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল শ্রদ্ধা জানায়। অপরদিকে সকাল ১০টায় সাভারে রানা প্লাজা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে স্কপ নেতা কামরুল আহসান, আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বুলবুল, অ্যাড.আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
Advertisement
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারহীনতার এই ধরনের দৃষ্টান্তের জন্যই স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আট ঘণ্টা কাজ, বকেয়া বেতনের দাবি করায় শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটছে। তারা রানা প্লাজা ধসসহ কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নেতারা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২৪ এপ্রিলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ’গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস’ ঘোষণা এবং শ্রম আইনের ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট ধারাটি সংশোধন করে কর্মক্ষেত্রে মালিকের অবহেলাজনিত কারণে শ্রমিকের মৃত্যুতে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের পরিমাপে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধানযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
একই সময়ে স্কপভুক্ত গার্মেন্টস সংগঠনগুলোর জোট ’গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-জি স্কপ’-এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এমএম/এআরএ/এমকেএইচ
Advertisement