জাতীয়

এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু

রাজধানীসহ সারা দেশে চলমান লকডাউনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তকৃত রোগী ২৫ শতাংশের বেশি কমেছে। একই সঙ্গে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা দুই দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে।

Advertisement

গত এক সপ্তাহে মৃত্যু সংখ্যা বাড়লেও আগের সপ্তাহের মতো বাড়েনি। গত এক সপ্তাহে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ মৃত্যু বৃদ্ধি পায়। যা পূর্ববর্তী সপ্তাহে ছিল ৩০ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে সুস্থতা ২১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

এপিডেমিওলজিক্যাল ১৫তম সপ্তাহের (১১ এপ্রিল থেকে ১৭এপ্রিল) সঙ্গে এপিডেমিওলজিক্যাল ১৬তম সপ্তাহের (১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল) তুলনামূলক বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এপিডেমিওলজিক্যাল ১৫তম সপ্তাহে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৩৬ হাজার ৩১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ৩৬ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ এবং ৬২২ জনের মৃত্যু হয়।

এপিডেমিওলজিক্যাল ১৬তম সপ্তাহে এক লাখ ৭২ হাজার ৯১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ২৭ হাজার ১৪৮ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত, ৪৪ হাজার ৪৩৬ জন সুস্থ এবং ৬৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ জন এবং নারী ২৩ জন। মোট মৃত ৮৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন এবং বাসায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৫২ জনে।

একই সময়ে ৩৫০টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ২০ হাজার ২২৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ২০ হাজার ৫৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জন।

Advertisement

গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৪৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস