মহামারির দ্বিতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে আনল ইসরায়েল। প্রায় ১০ মাস পর গত শুক্রবার দেশটিতে করোনায় মৃত্যু পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নেমেছে। মহামারি মোকাবিলায় ইসরায়েলিদের এমন অসামান্য সফল্যের পেছনে ব্যাপক হারে টিকাদানের অবদান রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৪৬ জন। পরের ২৪ ঘণ্টায় আর কারও মৃত্যু না হওয়ায় শুক্রবারও একই সংখ্যা দেখা গেছে।
ইসরায়েল এর আগে সবশেষ করোনায় মৃত্যুশূন্য হয়েছিল গত বছরের জুন মাসের শেষের দিকে। সেসময় ব্যাপক কড়াকড়ির মাধ্যমে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এনেছিল দেশটি। এরপর সেখানে আবারও বাড়তে শুরু করে করোনার প্রকোপ। একপর্যায়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চূড়ায় পৌঁছায় এর সংক্রমণ। তবে এরপর আবারও গতি নিম্নমুখী হতে থাকে। মাসখানেক পরেই লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
গত ডিসেম্বরেই করোনার টিকাদান শুরু করেছিল ইসরায়েল। জনসংখ্যার অনুপাতে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে তারা। গত বৃহস্পতিবারই দেশটি ৫০ লাখ টিকা দেয়ার অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির ৯০ লাখ জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। করোনা মোকাবিলায় ইসরায়েল মূলত ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহার করছে। মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ১২-১৫ বছর বয়সী শিশুদেরও টিকা দেয়া শুরু করতে চায়।
Advertisement
ইসরায়েলি জনগণ ব্যাপক হারে টিকা পেলেও সেই সুবিধা খুব সামান্যই পেয়েছে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। গত মার্চে কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় প্রথমবারের মতো মাত্র ৬০ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছিল ফিলিস্তিন।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/জিকেএস
Advertisement