বিনোদন

শৈশবের রোজার দিনগুলো খুব মজার ছিল: ফারিন

তারকাদের ধর্ম পালন নিয়ে তাদের ভক্তদের অনেক কৌতূহল। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম ধর্মীয় প্রার্থনায়। আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। তাদের ভিড়ে ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন জানালেন রোজা নিয়ে তার দর্শন ও উপলব্ধির কথা।

Advertisement

জাগো নিউজ : কবে প্রথম রোজা রাখা হয়?ফারিন : সেভাবে মনে নেই। তবে অনেক ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখার অভ্যাস তৈরি হয়।

জাগো নিউজ : শৈশবের রোজা নিয়ে মজার স্মৃতি.....ফারিন : ছোটবেলায় যেটা হয় রোজা রাখলে অসুস্থ হয়ে যেতাম৷ তাই মা বোঝাতেন যে তিনবেলা খেলে তিনটা রোজা হবে। তাই করতাম। হাসি পায় ভাবলেই৷

তবে সবচেয়ে মজার ছিলো যখন নানু বাড়ি যেতাম। ঈদের জন্য শেষেরদিকের রোজাগুলো নিয়ে কাজিনদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। কে কার আগে সেহরির জন্য উঠতে পারে সেই কম্পিটিশন হতো। উঠতে হবে বলে কেউ কেউ সারারাত ঘুমাতামই না৷ খুব মজার ছিলো ছোটবেলার রোজার দিনগুলো।

Advertisement

জাগো নিউজ : শৈশব ও বড় বেলার রোজা রাখার মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান....ফারিন : এখন তো রোজা রাখি একজন মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য৷ পুরো বিষয়টা স্পিরিচুয়াল। রোজার গুরুত্ব ও মহাত্ম বোঝা এবং সেই উপলব্ধি জীবনে এপ্লাই করার ভাবনা কাজ করে এখন৷ শৈশব ছিলো আনন্দের৷ রোজা আসতো উৎসব নিয়ে, ছেলেমানুষির উৎসব৷

জাগো নিউজ : সেহরি ও ইফতারে কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন?ফারিন : সেহরি ও ইফতারে হালকা খাবার গ্রহণের চেষ্টা করি৷ ভাজাপোড়া আমার পছন্দ না৷ ফল আর শাকসবজি জাতীয় খাবারকে প্রাধান্য দেই৷

জাগো নিউজ : রোজা রেখে আপনার মধ্যে কি উপলব্ধি তৈরি হয়?ফারিন : তাছাড়া রোজা রাখলে সবচেয়ে বড় উপলব্ধিটা হয় যারা ঠিকমতো খেতে পান না তাদের কষ্টটা ফিল করতে পারি৷ এ জায়গা থেকে মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ জন্মায়৷

যতটুকু পারা যায় মানবিক হওয়ার চেষ্টা করা উচিত৷ রোজায় নিজের উপলব্ধিটা অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া উচিত।

Advertisement

এলএ/এমএস