দেশজুড়ে

রাজশাহীতে শেষ হলো কবিদের মিলন মেলা

এলোমেলো হোক পথ, তবুও নতুন স্বপ্ন নিয়ে/ এগুবো নির্দিষ্ট গন্তব্যে/ আতঙ্কে আমি ডুবে যাবো না পদ্মার জলে/ অরণ্য-রহস্যময় বিবর্ণ দিনে/ আমি শুধু লিখে যাবো বিজয়ের গাথা। এমন শত শত কবিতার মূর্ছনায় মেতে ছিলো রাজশাহী মহানগরীর চৈতির বাগান। শনিবার সকাল থেকে এপার বাংলা-ওপার বাংলার কবিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল জায়গাটি। এ যেন কবিদের মিলন মেলা।উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, কবিকুঞ্জের সভাপতি রুহুল আমিন প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত কবি মিলান বসু চৌধুরী, কবি আফসার আহমেদ, মোস্তাক অহমেদ, কাজল সুর, মৌমিতা ঘোষ, গৌতম মিত্র, কবি তানিয়া চক্রবর্তী, শামীম হোসেন, সিক্তা কাজলসহ তরুণ ও উদিয়মান অনেক কবি। রাতে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কবিদের এ মিলন মেলা শেষ হলো।এবারে বাংলা কবিতায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ কবি আতাউল হক সিদ্দিকী ও বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় গবেষণায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ড. অনীক মাহমুদকে কবিকুঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত দুই গুণীজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পদক, সম্মাননাপত্র ও অর্থমূল্য (পঁচিশ হাজার টাকা) প্রদান করা হয়।কবি আতাউল হক সিদ্দিকী নওগাঁ জেলায় পত্নীতলা থানার আমাইড় গ্রামে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৬টি ও সম্পাদনা গ্রন্থ ১টি। ড. অনীক মাহমুদ ১৯৫৮ সালের ২১ নভেম্বর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে তার অসংখ্য গবেষণা-প্রবন্ধগ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ ও নাট্যকাব্য প্রকাশিত হয়েছে।পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাবন্ধিক খন্দকার সিরাজুল হক, কবি শোয়েব শাহরিয়ার, গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা ও কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন কবিকুঞ্জের সভাপতি কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক।শাহরিয়ার অনতু/বিএ

Advertisement