ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। চলমান এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মেয়র তাপস ঢাকা মহানগর হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত এটিকে করোনা আক্রান্ত ঢাকাবাসীর চিকিৎসায় কাজ শুরুর নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম দেখতেই আজকের এই পরিদর্শন। আমরা চাই ঢাকাবাসী যেন এই সময়ে তাদের চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। সেজন্য আনুষঙ্গিক ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম আমরা সমাপ্ত করেছি।’
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুষঙ্গগুলো পেতে দেরি হওয়ায় এখনও এই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাক্কায় যে চিকিৎসক দেওয়া হয় তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া পাঁচটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য শয্যা প্রদান বিলম্ব করা হয়েছিল এবং আনুষঙ্গিক যে সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রয়োজন সেগুলো আমরা সময় মতো পাইনি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আমাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
Advertisement
চিকিৎসক-নার্সসহ কিছু লোকবল পদায়ন করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এখন আমাদের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বা প্ল্যান্ট প্রয়োজন হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ এনেসথেসিস্টও লাগবে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলছি। আশা করছি খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় সকল অনুষঙ্গ সরবরাহ করা হবে এবং দ্রুতই আমরা চিকিৎসা কার্যক্রমে যেতে পারব।’
হাসপাতালটির পরিচালক ডা. প্রকাশ রায় বলেন, ‘আমরা ৫৬ জন চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) চেয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ জনকে পদায়ন করা হয়েছে এবং ১৬ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। একই সঙ্গে আমরা ৬০ জন নার্স চেয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০ জনকে প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২২ জন যোগদান করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা বা প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আজ জানানো হয়েছে। আশা করছি, আমরা দ্রুতই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল স্পেশালিস্টও পেয়ে যাব এবং মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
এই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ ৫টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের শয্যা, ৩০টি উচ্চ-অক্সিজেন (হাই-ফ্লো) প্রবাহ শয্যা এবং ৭৫টি আইসোলেশন শয্যা নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/এসএস/জেআইএম