পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মোবাইল চোর সন্দেহে সানাউল (১৩) নামের এক ছিন্নমূল কিশোরকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে উপজেলা হোগলপাতি গ্রামে এ অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আহত সানাউল হোগলপাতি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একটি ফার্মেসিতে আটকে প্লাস দিয়ে ওই কিশোরের হাতের আঙ্গুল ও নাক চেপে তাকে নির্যাতন করা হয়।
পরে স্থানীয় চৌকিদার ও ইউপি সদস্য কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
Advertisement
আহত সানাউল জানায়, সে একটি মোবাইল সিমকার্ড কুড়িয়ে পেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করছে। বুধবার সন্ধার পরে স্থানীয় মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে ওষুধ ব্যবসায়ী সোহাগ ও অন্য দুইজন তাকে ফার্মেসিতে আটকিয়ে রাখে। এরপর সেখানে মোবাইল চোর সন্দেহে প্লাস দিয়ে তার শরীরে নির্যাতন চালায়।
স্থানীয় চৌকিদার জসিম উদ্দিন বলেন, সানাউলের চিৎকার শুনে প্রথমে রাত ৮টার দিকে ওই ফর্মেসির দরজায় ধাক্কা দেই। কিশোরকে মারতে নিষেধ করে আমি তারাবীহের নামাজে চলে যাই। এরপর রাত ১১টার দিকেও তাকে মারধর করার খবর পেয়ে মেম্বারকে নিয়ে সানাউলকে উদ্ধার করি।
ইউপি সদস্য মো. জাকিরে হোসেন বলেন, সানাউলের ওপর নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে চৌকিদারের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে থানায় ও পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, যে মোবাইল চুরি করার অভিযোগ করেছে সেটি সোহাগের নয়। অহেতুক ছেলেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
Advertisement
এ ব্যপারে অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ী সোহাগের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মঠবাড়িয়া থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএমএম/এএসএম