মিসর সম্পর্কে বিশ্ববাসীর কৌতূহল তুঙ্গে। পিরামিড, মমি বিভিন্ন মূর্তিসহ সেখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রাচীন মিসরের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে তাদের অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্য ও বিজ্ঞান মনস্কতায়।
Advertisement
পাথরের তৈরির অদ্ভুত সুন্দর সব মূর্তির সন্ধান মেলে শুধু মিসরেই। মিসর সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানার বাকি বিজ্ঞানীদের। তাদের রহস্যময় সব স্থাপনা ও কলা-কৌশল আজও বিজ্ঞানীদের অজানা। যুগ যুগ ধরে এসব নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, আর তাতেই বেরিয়ে আসছে সব অজানা ও বিস্ময়কর তথ্য।
কখনো কি খেয়াল করে দেখেছেন, মিসরের বেশিরভাগ মূর্তির নাক ভাঙা কেন? ব্রুকলিন জাদুঘরের মিসরীয় আর্ট গ্যালারি দেখতে গেলেই দর্শকদের মনে প্রথমে এ প্রশ্নটি জাগে। বিভিন্ন রাজা-রানি থেকে শুরু করে দেব-দেবী ও পশুপাখির মূর্তি প্রত্নতাত্ত্বিকরা উদ্ধার করেছেন এ পর্যন্ত।
এসব মূর্তিগুলো মিসরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। তবে এসব মূর্তির মধ্যে একটি অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়, যেটি হলো প্রাচীন মূর্তিগুলোর প্রায় অধিকাংশেরই নাক ভাঙা। তবে এর কারণ কী?
Advertisement
অবাস্তব হলেও সত্যিই যে, প্রাচীন মিসরীয়রা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করত। তারা ভাবত মূর্তির মধ্যেও জীবন থাকে। তাই মূর্তির প্রাণ যদি কখনো ভয়ঙ্কর বা খারাপ হয়ে ফিরে আসে; তাহলে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এ কারণেই তারা এসব মূর্তিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
যেহেত নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া হয়; তাই মিসরীয়রা মূর্তিদের নাক ভেঙে দেন। তারো ভেবেছিল, মূর্তি নাক ভাঙা হলেই তারা মরে যাবে। কারণ নিঃশ্বাস নিতে পারবে না মূর্তিগুলো। তবে কোনো রাজা-রানিদের জীবদ্দশায় এসব মূর্তির নাক ভাঙা হত না।
তাদের মৃত্যুর পরপরই মূর্তিগুলোর নাক ভেঙে দেওয়া হত। যাতে তারা খারাপ রূপে আবার জীবন লাভ করতে না পরেন। মূর্তির মধ্যে জীবনী শক্তি থাকে- ভুল এ ধারণাটি পুরো মিসর জুড়ে তখন ছড়িয়ে পড়ে।
এ কারণে অনেকেই মন্দির, সমাধিসৌধ এবং অন্যান্য পবিত্র স্থান থেকেও চুরি-ছিনতাই করে মূর্তির নাক ভেঙে দিত কিংবা নষ্ট করে ফেলত। এমনকি প্রাণীরাও যেন মৃত্যুর পর মিসরীয়দের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য তাদের মূর্তিগুলোরও নাক ভাঙা হত।
Advertisement
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
জেএমএস/জিকেএস