করোনাভাইরাস সংক্রমণের অত্যন্ত উচ্চ হারের কারণে বাংলাদেশসহ অন্তত দেড়শ’টি দেশ ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে শুধু চলতি সপ্তাহেই যোগ হয়েছে ১১৬টি দেশের নাম।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গত মঙ্গলবারের আগপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডু নট ট্রাভেল’ বা ‘ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন’ তালিকায় নাম ছিল ৩৪টি দেশের। কিন্তু এখন সেটি ১৫০তে দাঁড়িয়েছে।
অর্থাৎ মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১১৬টি দেশের ওপর চতুর্থ মাত্রার ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তালিকা সম্প্রসারণের এই কাজ কখন শেষ হবে তা জানানো হয়নি। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, তারা বিশ্বের ৮০ ভাগ দেশকে সর্বোচ্চ ভ্রমণ সতর্কতার আওতায় আনতে পারে।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, বিভিন্ন দেশে বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং তা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সতর্কতা পরিমার্জনের প্রতিফলন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বিদ্যমান মহামারি সংক্রান্ত নির্দেশনার ওপর আরও বেশি নির্ভর করবে।
Advertisement
তবে এই সতর্কতা বাধ্যতামূলক নয়, এর মাধ্যমে মার্কিনিদের ওপর কোনও ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইসরায়েল, মেক্সিকো, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, মিসর, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি। আর চীন-জাপানের মতো কিছু দেশের ওপর তৃতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি রেখেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই বাংলাদেশ ভ্রমণে তৃতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি করেছিল মার্কিন প্রশাসন। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরে তা আরও বাড়িয়ে চতুর্থ মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে মার্কিনিদের ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইউরোপের বড় অংশ, চীন, ব্রাজিল, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্প্রতি ভ্রমণ করেছেন, এমন অ-মার্কিনিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশও নিষিদ্ধ করেছে ওয়াশিংটন।
Advertisement
কেএএ/জিকেএস