দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তে এক সময় সরকারি পর্য়ায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরিই একমাত্র ভরসা ছিল। তখন স্বল্পসংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আরটিপিসিআর ল্যাব, জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরি ও সর্বশেষ র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
Advertisement
এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীসহ সারাদেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত তিন সপ্তাহে বেড়েছে ১১১টি ল্যাব। যার মধ্যে সরকারি পর্য়ায়ে ২৬৩টি ও বেসরকারি পর্য়ায়ে ৭২টি ল্যাবরেটরি রয়েছে। এসব ল্যাবে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তে গত তিন সপ্তাহে রাজধানীসহ সারাদেশে নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা ১১১টি বেড়েছে। গত ৩১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্য়ায়ে ল্যাবরেটরির মোট সংখ্যা ছিল ২২৪টি। এর মধ্যে সরকারি পর্য়ায়ে ৫২টি আরটিপিসিআর, ২৯টি জিন এক্সপার্ট এবং ৭৩টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব। অপরদিকে বেসরকারি ৬৮টি আরটিসিআর ও দু’টি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরি ছিল।
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আজ বুধবার (২১এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা ৩৩৫টি। এর মদ্যে ৫২টি আরটিপিসিআর, ৩২টি জিন এক্সপার্ট এবং ১৭৯টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব। অপরদিকে বেসরকারি ৭০টি আরটিসিআর ও দু’টি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরি চালু রয়েছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৩৩৫টি ল্যাবরেটরিতে ২৮ হাজার ৫৬১টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৮ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৩টি। নমুনা পরীক্ষায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ২৮০ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জন।
এমইউ/এএএইচ/এমএস