প্রথম ব্যাচে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার দেশটিতে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে যাওয়ার কথা। দেশটির কয়েক লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই চরম মানবিক সঙ্কটে দিন পার করছে। এর মধ্যে করোনা যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
Advertisement
কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৫৩ হাজার ৮শ ভ্যাকসিনের ডোজ যাচ্ছে সিরিয়ায়। জাতিসংঘের সহায়তায় কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রকল্পের আওতায় ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোতেও ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন এমন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাহমুদ দাহের বলেন, ভ্যাকসিন পৌঁছে গেলে আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করব।
কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১শ'টি স্থানে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। বিদ্রোহী অধ্যুষিথ ইদলিবও ওই অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত।
Advertisement
ইদলিবে প্রথমদিকে চিকিৎসা কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। কারণ এই মহামারিতে তারা সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে জীবন বাজি রেখে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয় দফায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত বা ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ইদলিবেরর স্বাস্থ্য দফতরের মেডিকেল কর্মকর্তা ইমাদ জাহরান বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রম আগামী মাসের শুরুতে হওয়ার কথা ছিল এবং তিন সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ সিরিয়ার ২০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে সংঘাতের কারণে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম