সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুই সন্তানের জননীকে হত্যার পর মরদেহ রান্না ঘরের লাকড়ি রাখার মাচার নিচে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
Advertisement
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিনার স্বামী শাহনুর মিয়া গত এক সপ্তাহ আগে জামালগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে ধানকাটার কাজে গিয়েছেন। সেজন্য গৃহবধূ তার ৫ বছরের এক ছেলে ও ২ বছরের এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তার বসত ঘরে একাই থাকতেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে আজমিনার ছেলে-মেয়ের কান্নাকাটি শুনে পাশের ঘর থাকা শ্বশুর ও অন্যরা এসে দেখতে পায় আজমিনা ঘরে নেই। পরে শুশুর বাড়ির লোকজন রাতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আজমিনার সন্ধান না পেয়ে ঘরে ফিরে আসে।
ভোরে আবারও তার খোঁজে বের হলে বাড়ির পাশে রান্নাঘরের লাকড়ি রাখার মাচার নিচে গৃহবধূর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
Advertisement
আজমিনার স্বামী শাহনুর মিয়া বলেন, ‘আমি গত ৭-৮ দিন ধরে ধানকাটার কাজে জামালগঞ্জের হাওরে ছিলাম। কে বা কারা এবং কেন আমার স্ত্রীকে এমন করে হত্যা করল কিছুই বুঝতে পারছি না।’
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। নিহতের মাথায়, গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
লিপসন আহমেদ/এসজে/এমএস
Advertisement