বাংলাদেশে ‘পাওয়ার রেপিস্ট’ গত দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে শুরু হয়েছে। করোনাকালে এই অপরাধটি বেড়েছে বলে মনে করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
Advertisement
এ ধরনের ধর্ষকরা ভুক্তভোগীকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। সেখানে ফাঁকা একটি বাড়িতে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তিনজন। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পাওয়ার রেপিস্ট গত দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে শুরু হয়েছে। করোনাকালে এই অপরাধটি বেড়েছে বলে মনে করে সিআইডি। এ ধরনের রেপিস্টরা ভিকটিমকে নিজেরে আয়ত্তে নিয়ে ধর্ষণ করে। যাতে কোনো প্রকার ঝুঁকি থাকে না। এই গ্রুপে তিন থেকে চারজন থাকে।’
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, ‘গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।’
তিনি জানান, গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মুকসুদপুরের গোবিন্দপুর ইউনিয়নে তিন আসামি ফাঁকা বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরের সামনে থেকে মেয়েলি কণ্ঠে ডাক দিয়ে সুকৌশলে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করেন তারা। এ সময়ে তারা দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের পর তারা গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ও নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আসামিরা হলেন- হেমায়েত শেখ (৩৫), ইয়াছিন মোল্লা (২৩) ও বশির শেখ (২৫)।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধরের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে নওগাঁর নজিপুর এলাকা থেকে ইয়াছিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন ইয়াসিন।
Advertisement
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় সিআইডি।
টিটি/এমআরআর/এমকেএইচ