সাহিত্য

ভালোবাসার কক্ষপথে

সূর্য থেকে প্লুটোর দূরত্বও ঘুচিয়েছে বিশ্ব।দূরত্ব সবসময় মাইল, কিলোমিটারে হয় না।লক্ষ-কোটি মাইল দূরের গ্রহ, নক্ষত্র, ধুমকেতু, আকাশগংগা সব আজ তোমার জানা।কয়েক সেকেন্ডেই বলে দিতে পারোসৌরজগতের আটটি গ্রহের বিশদ বর্ণনাসূর্য-পৃথিবীর দূরত্ব,বৃহস্পতির ভর ইত্যাদি ইত্যাদি।

Advertisement

অথচ নিজেকেই জানতে পেরেছো কি?মনের উদ্যানে শীত-বসন্তের খোজ রেখেছ?পাখির শিসে কান পেতেছ?বায়ু প্রবাহের নিরব ভাষা বুঝেছ?বুকের মধ্যে বয়ে চলা দাজলা-ফোরাতের শীতল জলে কখনো অনুভূতির স্নান করিয়েছো?নীল-কণ্ঠ ফুলে বসে কয়েকটা ঘাসফড়িংকি বলতে চেয়েছে শুনেছ কখনো?বরং অবহেলায় বড়ই পাতার জলে অনুভূতির মৃত্যু দিয়েছ।

কিছু দূরত্ব শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।হৃদয়েই ঘোচে।রাডার, ফ্যাদোমিটির, অলটিমিটার, কার্ডিওগ্রাফ লাগে না। দিয়ে হয়ও না।কোন কোন স্পন্দন শুনতে হৃদয়টাকে ছেড়ে দিতে হয় তার মতো করে। নিয়ন্ত্রণ হারা সে হৃদয় নিজেই তার সুখের উদ্যান খুজে নিবে আপন উদ্যমে।

গ্রহ, নক্ষত্র কি শুধু কক্ষপথেই থাকে?কখনও গ্রহ তো মানুষ, মানুষের চিন্তা,অনুভূতি।ভালোবাসার কক্ষপথে কখনো সে নিজেই চলে,কখনো তার চিন্তা,অনুভূতি। সুখ-দুঃখ।

Advertisement

ভাবনার উঠানে যদি ভুলের নৃত্য নাই চলে তবে সঠিকের গুরুত্ব থাকে কোন নিয়ামকে।হৃদয়ের রাজ্যে প্রেমের আগ্নেয়াস্ত্র কি কারফিউ মেনেছে কখনো?

তুমি জ্যোৎস্নাকে মুঠোবন্দি করে তারা,নক্ষত্র ছুতে চাও নিজের মতো করে।তুমি তো জানোই না জ্যোৎস্না তোমাকে ছুয়েই ধন্য হয়।এই আকাশ-গঙায় চার আলোক বর্ষ দূরের সূর্য তোমার জন্যই আলো পাঠায়। ৭৬ বছর পর পর ধুমকেতু আসে তোমাকে দেখবে বলেই।তোমার মন খারাপেই আকাশে উল্কা ছোটে,তুমি হাসলেই নিঃশেষ।সব দুঃখে অলিম্পিয়াস মুন বুক পেতে রবে।

হৃদয়কে উন্মুক্ত করে দাওভালোবাসার সালতানাতে গোটা দুনিয়ার হাসেকী সুলতানা ঘোষিত হয়েছো অনেক আগেই।

এমআরএম

Advertisement