করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে রয়েছেন। আগামী দুদিন পার হলেই তিনি শঙ্কামুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
Advertisement
সোমবার রাত পৌনে বারোটার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার আজকে আমরা রুটিন চেকআপ করেছি। আমি এবং ডাক্তার মামুন আমরা দুজনে ছিলাম। সারাদিন উনার অক্সিজেন সেচুরেশন, পালস, ব্লাড প্রেসার ও শরীরের তাপমাত্রা কয়েকঘণ্টা পরপর মনিটরিং করা হয়। এরপরও আমরা ফিজিক্যালি যে রুটিন পরীক্ষা, সেটার জন্য দুজনে আসছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল আমাদের মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেছিলেন যে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে ম্যাডামের ১২ দিন শুরু হয়েছে। ১৩-১৪তম দিন, এই টাইমটা হচ্ছে করোনার জন্য সেকেন্ড উইকের লাস্ট ফেজ। সেখানে আমরা আছি। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের অবগতির জন্য আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই, গতকাল ভোর ছয়টা থেকে আজকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উনার কোনো ধরনের জ্বর আসেনি। এটা একটা ভালো দিক। এটাকে আমরা একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে গণনা করছি। উনার অক্সিজেন স্যাচুরেশন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। উনার অন্যান্য উপসর্গ সেটিও বৃদ্ধি পায়নি অথবা নতুনভাবে হয়নি। কাজেই এ অবস্থায় আপনারা বা আমরা সবাই বলতে পারি উনার চিকিৎসা যেভাবে চলছে উনি স্থিতিশীল পর্যায়ে আছেন এবং এভাবে যদি আগামী দুইদিন যায়, ইনশাআল্লাহ আমরা আশা করতে পারি, করোনা থেকে হয়তো ভালো একটা পর্যায়ে উনি যেতে পারবেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
Advertisement
খালেদা জিয়ার পুত্রবধু ডা. জোবায়দা রহমানের সমন্বয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে বলেও জানান ডা. জাহিদ।
এর আগে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান শেষে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে করোনার সংক্রমণ খুবই সামান্য। যে কারণে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।
এরপর থেকে চিকিৎসকরা তার বাসায় গিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়।
Advertisement
কেএইচ/এমএইচআর