টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (এসডিজি) ও স্থানীয় পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পার্টনার এনজিওগুলোকে কোভিড-১৯ ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মপরিকল্পনা সাজানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
সোমবার (১৯ এপ্রিল) অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘পার্টনার ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তাদের অভিমত থেকে এই সুপারিশ উঠে আসে।
পার্টনার এনজিওগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং আগামী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এই সংক্রান্ত সুপারিশ তুলে ধরতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, এইচসিএমপির অ্যাডমিন হেড (লজিস্টিক্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনসহ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের এইচসিএমপির হোস্ট কমিউনিটি প্রোগ্রামের হেড মো. আব্দুল মতিন সর্দার।
Advertisement
আলোচনায় অংশ নিয়ে হাসিনা আখতার হক বলেন, ব্র্যাক ভবিষ্যতে পার্টনার এনজিওগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাজের গুণগত মানকে বেশি বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এসডিজি অর্জন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের আগামী দিনের কর্মসূচি সাজাতে হবে। এছাড়া আমাদের বাস্তব ও জনকল্যাণমুখী কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। এতে স্থানীয় কমিউনিটি ওই কাজটাকে ‘নিজের কাজ’ হিসেবে বিবেচনা করবে। তাহলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে।
কর্মশালায় ব্র্যাকের ছয়টি পার্টনার এনজিও থেকে আগত শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ প্রায় ৫০ জনের অধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এই ছয়টি এনজিও হচ্ছে- সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (শেড) প্রোগ্রাম ফর হেলফলেস অ্যান্ড ল্যাগেড সোসাইটিজ (পালস) অ্যালায়েন্স ফর কো অপারেশন এইডস বাংলাদেশ (অ্যাকলাব), জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা (জেনাস), নোঙর ও হেলপ-কক্সবাজার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা-কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম গ্রহণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে ক্যাম্পেইন করার ওপর বিশেষ সুপারিশ তুলে ধরেন।
Advertisement
এছাড়া কর্মশালায় বক্তারা ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনজিওগুলোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নিরিখে ও সীমিত সম্পদ বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন, সংস্থাগুলোর নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, দাতা সংস্থা ও ব্র্যাকের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ পরিচালনা করা, কর্মী সুরক্ষায় সেফ গার্ডিং ইস্যু বজায় রাখা, যথাযথভাবে প্রকিউরমেন্ট পলিসি অনুযায়ী কাজ করা এবং সর্বোপরি কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এমইউ/এমআরআর/এমএস