করোনা সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ। তবে মহাসড়ক থেকে শুরু করে সব গলিপথ ব্যাটারি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
Advertisement
দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে রিকশা, অটোরিকাশা, লেগুনা, প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে।
চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার রিকশা চালক রিয়াজ হোসেন জানান, সড়ক-মহাসড়কে প্রচুর অটোরিকশা দেখা গেলেও যাত্রী খুবই কম।
তিনি বলেন, সকাল ৬টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। দুপুর ১টা বাজলেও ২০০ টাকার আয় করতে পারিনি। তবে বিকালের গার্মেন্টস ছুটি হলে কিছু আয় হবে।
Advertisement
বাবুল হোসেন নামের আরেকজন জানান, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের সংসারে তিনি এমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। অটো না চালালে সংসার চালানো দায়।সাহরি খেয়ে বের হয়েছি। দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০০ টাকার মতো আয় হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ৩০০ টাকা আয় করতে না পারলে রিকশার জমা দেয়ার পর হাতে কিছুই থাকবে না। খালি হাতে বাসায় ফিরতে হবে।
তিনি জানান, প্রতিদিন ৪০০-৬০০ টাকা রোজগার হয়। জমা দিয়ে বাকি টাকা চাল-ডাল কিনে কোনমতে দিন চলে।লকডাউনের জন্য রাস্তায় প্রচুর রিকশা থাকলেও যাত্রী খুবই কম। তারপর পুলিশের ধাওয়া তো রয়েছেই।
শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে খোলা রয়েছে অন্তত দুই হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা। লকডাউনে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে এসব কারখানায় শ্রমিক আনা নেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কারখানার মালিকরা তা মানছেন না। ফলে পেটের দায়ে শ্রমিকরা সকাল থেকে পায়ে হেঁটে বা অটোরিকশা নিয়ে কারখানায় যাচ্ছেন।
একটি পোশাক কারখানার নিটিং অপারেটর শাহিনা বেগম জানান, বোর্ড বাজার থাকি, ভোগড়া বাইপাস এলাকায় গার্মেন্টসে কাজ করি। মালিক যাতায়তের জন্য কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। তাই রিকশা ভ্যানে করে গার্মেন্টসে আসি।
Advertisement
আমিনুল ইসলাম/এএইচ/এএসএম