ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কারাগারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আসামি ও কয়েদির সংখ্যা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় বেশি বন্দি থাকতে হচ্ছে এই কারাগারে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণেরও ঝুঁকি রয়েছে।
Advertisement
জেলা কারাগারের তথ্য অনুযায়ী, ৬০৩ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এখানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ বন্দি থাকছেন। এরমধ্যে পুরুষের চারটি ও নারীদের একটি ভবন রয়েছে। আর এসব বন্দিদের জন্য জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলারসহ মোট ১১৫জন কারারক্ষী আছেন। ফলে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
এ বিষয়ে জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কারাগারে বর্তমানে ১ হাজার ৭০০ বন্দি আছে। এরমধ্যে প্রায় শতাধিক নারী। নারীদের সঙ্গে শিশুরাও থাকে। বন্দিদের থাকার জায়গার যতটুকু প্রয়োজন, তা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, `আমরা বরাবর মাসিক সভাগুলোতে আবেদন জানিয়ে আসছি, কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি থাকায় যারা জামিন পাওয়ার যোগ্য তাদের জামিন দেয়া হোক। এই লকডাউনের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে হাজতিদের জামিন চাওয়ার জন্য সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি কোর্ট ছাড়া সব কোর্টে জামিনের আবেদন করতে পারছি। আদালত থেকে অনেক জামিন দেয়া হচ্ছে, এরপরও কারাগারে থাকা বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি। এটা সরকারের বিষয়, আমরা চাই আরও বড় পরিসরে বন্দিদের রাখা ব্যবস্থা করা হোক।
Advertisement
জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কারাগারে ১৫০০-১৭০০ জন বন্দি থাকে। যদিও ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি। এতে কিছু বন্দির জামিনও হয়। তবে সে তুলনায় দ্বিগুণ আসামি প্রতিদিন কারাগারে আসে। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমকেএইচ