জাতীয়

জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করে সব বন্ধ রাখার পরামর্শ

চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

Advertisement

এছাড়া খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার অনুরোধ করে কমিটি। অন্যথায় করোনার আরও বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

রোববার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টায় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে ৩১তম জুম কনফারেন্সে এ পরামর্শ দেয়া হয়।

কমিটি আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করে। পরবর্তীতে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।

Advertisement

সভার শুরুতে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় ও পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়। সভায় কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিভিন্ন সুপারিশসমূহ গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।

সভায় সংক্রমণের অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সারাদেশে কোভিড-১৯-এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভা উদ্বেগ প্রকাশ করে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করে।

সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দেয়। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।

পাশাপাশি সভা সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কমিটি। এর মধ্যে কমিটি খোলা রাখা জরুর সেবার তালিকা প্রকাশ করার অনুরোধ করে। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশংকা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে চলমান লকডাউন এ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটির জন্য চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। কাঁচা বাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের প্রস্তাব আবারও দেয়া হয়।

Advertisement

ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের উপরও জোর দেয়া হয়।

কমিটি বলে, করোনা রোগী দ্রুত শনাক্ত করা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নমুনা সংগ্রহ সহজ ও রোগীদের হাতের নাগালের মধ্যে আনার জন্য শহর অঞ্চলে প্রতি ওয়ার্ডে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা প্রয়োজন। রিপোর্ট দ্রুত প্রেরণ করার জন্য নমুনা সংগ্রহের বুথে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দেয়া হয়।

এমইউ/জেএইচ/এমকেএইচ