আগামী ২৫ এপ্রিল ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি এই সফর বাতিল করেছেন। গত কয়েকদিনে ভারতে সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। খবর এনডিটিভির।
Advertisement
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী সপ্তাহে দেশটিতে সফরে যেতে পারছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর পরিবর্তে চলতি মাসের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেদের মধ্যে আলাপ করবেন।
তারা যুক্তরাজ্য এবং ভারতের ভবিষ্যত অংশীদারিত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। তবে সেটা কোথায়, কখন, কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জনসনের ভারত সফর বাতিল হলেও তাদের দু'জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে। এ বছরের যে কোনো সময় তারা সাক্ষাত করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বরিস জনসনের সফর করার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সে সফরও বাতিল হয়ে যায়।
Advertisement
মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত। সে কারণে এই মুহূর্তে দেশটিতে সফর করা মোটেও উচিত হবে না বরিস জনসনের। এর আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ভুগতে হয়েছে তাকে। মৃত্যুর হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন এই প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে টানা পাঁচদিন ধরে দুই লক্ষাধিক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ভেঙেছে দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত-মৃত্যুর রেকর্ড। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে সোমবারও।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮১০ জন, যা গত রোববারের চেয়ে অন্তত ১২ হাজার বেশি। দেশটিতে একদিনে শনাক্ত রোগীর হিসাবেও এটি এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।
সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মারা গেছে ১ হাজার ৬১৯ জন, যা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ।
Advertisement
ভারতে ইতোমধ্যে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এদিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৩২৯ জন। এর আগে এত সংখ্যক সক্রিয় রোগী দেখেনি দেশটি।
টিটিএন/জিকেএস