করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন চলছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। নিয়ম অমান্য করলেই হচ্ছে জরিমানা। তেমনই একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন স্থানীয় এক দম্পতি। কিন্তু ভুল স্বীকার না করে উল্টো পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে ভাইরাল হয়েছেন তারা।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, স্থানীয় সময় গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে দিল্লির দারিয়াগঞ্জের একটি চেকপোস্টে ঘটেছে এই ঘটনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাস্ক না পরায় গাড়ির ভেতরে থাকা এক দম্পতিকে আটকান পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের কাছে বাধ্যতামূলক ‘কারফিউ পাস’ও ছিল না।
এসময় গাড়িতে থাকা পুরুষ ব্যক্তিটি পুলিশকে বলেন, ‘আপনারা আমার গাড়ি থামালেন কেন? আমি স্ত্রীর সঙ্গে গাড়ির ভেতরেই ছিলাম।’
Advertisement
তখন এক পুলিশ কর্মমতা জানান, গাড়ির ভেতর থাকলেও আদালতের নির্দেশ অনুসারে তাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু এরপরেও ভুল স্বীকার করেননি ওই দম্পতি। বরং সঙ্গে থাকা ওই নারী এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন।
कोरोना के इस दौर में ऐसे जाहिल लोग भी याद किये जाएंगे ,कार में बैठा एक कपल बिना कर्फ्यू पास के दरियागंज इलाके में घूम रहा था वो भी बिना मास्क के,पुलिस ने जब रोका तो बोला अपने दोस्त को किस करूंगी,पुलिस ने केस दर्ज कर दोनों को गिरफ्तार किया pic.twitter.com/Z9iCnmp4Hu
— Mukesh singh sengar मुकेश सिंह सेंगर (@mukeshmukeshs) April 18, 2021একপর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার স্বামীকে চুমু দেব। আপনি কি থামাতে পারবেন?’
Advertisement
পরে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। তিনি গাড়ির ওই নারীকে নিকটবর্তী থানায় নিয়ে যান।
গাড়িতে থাকা পুরুষ ব্যক্তি পঙ্কজ দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে সোমবারই আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। তার স্ত্রী আভা দত্তকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লিতে গত কয়েকদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত রোববারও সেখানে ২৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহে দিল্লিজুড়ে সপ্তাহান্তিক লকডাউন জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে তা বাড়িয়ে আজ রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছেন তিনি।
কেএএ/জেআইএম