দেশের আদালতে বিচারাধীন ৩০ লাখ মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ বিচারক রয়েছে, এর তিনগুণ বিচারক দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
Advertisement
রোববার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আইনজীবীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০ লাখ। এসব মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ বিচারক রয়েছে, এর তিনগুণ বিচারক দরকার। অন্যথায় কখনই মামলার জট কমানো সম্ভব হবে না। তবে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ নিলে মামলার জট কিছুটা উত্তরণ সম্ভব হবে।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়েছে। কিন্তু অনেক জেলায় এখনো চিফ জুডিশিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। কোথাও কোথাও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতার সমাধান করে ভবন নির্মাণের তাগিদ দেয়া হয়েছে বারবার।
Advertisement
এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আমাদের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এজন্য বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আপনি নির্দেশনা দিতে পারেন। নইলে কৃষি জমি রক্ষা করা যাবে না। তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, মামলা দায়েরের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। আগের চেয়ে এখন মামলা দায়েরের হারও বেশি।
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর আইনজীবীদের পাওয়া যায় না। এজন্য সকালের পরিবর্তে বিকালে জামিন শুনানির জন্য বিচারকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সেই সিদ্ধান্ত এখন বহাল রাখা যাচ্ছে না।
তখন আইনজীবীরা বলেন, শুধু আইনজীবী কেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর অনেক বিচারকও এজলাসে বসেন না। এরপর আদালত দিনের কার্যক্রম অনুসারে কার্যতালিকায় থাকা মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন।
করোনা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে হাইকোর্টে চারটি বেঞ্চে বিচারকার্য চলছে। অন্যদিকে নিম্ন আদালতগুলোতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম চলমান। তবে বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভার্চুয়াল আদালতের সংখ্যা বাড়াতে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
Advertisement
এফএইচ/এআরএ/জিকেএস