ঠিকাদারের অধীনে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শাওন হোসেন (১৮) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হলেও তার মরদেহ আড়াই ঘণ্টা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ঝুলে ছিল।
Advertisement
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শাওন উপজেলার কদমডাঙ্গা গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে। তিনি ঠিকাদারদের অধীনে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেয়ার কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আটঘরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, শাওন বেরুয়ান গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটিতে কাজ করছিলেন। এসময় বিদুৎপৃষ্ট হয়ে তিনি মই ও খুঁটির সঙ্গে আটকে যান।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, শাওনের দেহ আড়াই ঘণ্টা মতো ঝুলে ছিল। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা পল্লী বিদ্যুতের (পবিস) এক শ্রেণির ঠিকাদার অফিসের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে কর্মীদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তুলে দেন। শাওনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
বেশ কয়েকজন পবিস গ্রাহক ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কারো বাড়ির পবিসের মিটারসহ যে কোনো সামগ্রী দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হলেও গ্রাহকের বিরাট অংকের জরিমানা করা হয়। কিন্তু পবিসের অনেক ঠিকাদারের লোকজন অনুমতি ছাড়াই খুঁটিতে যখন তখন উঠে কাজ করার সুযোগ পান। কয়েকজন গ্রাহক জানান, একটি গাছ কাটতে হলেও পবিসের লিখিত অনুমতি লাগে। কিন্তু কিছু ঠিকাদারের লোকজনের তা লাগে না।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মাশফুকুল হাসান জানান, শাওন ডিশলাইনের কর্মী ছিলেন। তাদের অনুমতি ছাড়াই কাজ করার সময় তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
Advertisement
তবে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, শাওন পল্লী বিদ্যুতের একজন ঠিকাদারের কর্মী ছিলেন।
আমিন ইসলাম/এসআর/জিকেএস