দেশজুড়ে

যমদূত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছগুলো

খুলনা-যশোর মহাসড়কের আফিলগেট বাইপাস থেকে শুরু করে বাদামতলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ২০-২৫টি মড়ক লাগা মরাগাছ বিপজ্জজনক হয়ে উঠেছে। এসব গাছ দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থায় থাকায় ঝড়ে উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতিসহ প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা-যশোর মহাসড়কের আফিলগেট বাইপাস, আফিলগেট বাজার, মাত্তমডাঙ্গা ডাক্তারবাড়ী, জাহানাবাদ সেনানিবাস সংলগ্ন, শিরোমণি বাজার তুলাপট্টি ও বাদামতলা মোড়ল প্যালেস সংলগ্ন সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন মেহগনী, শিরিষসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২০-২৫টি বৃক্ষ শুকিয়ে গেছে। এসব গাছ সরকারি সম্পদ হওয়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কেউ অপসারণ করতে পারছে না।আবার বনবিভাগও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

এ সকল বৃক্ষ অপসারণে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় বৈশাখ মাসের কালবৈশাখী ঝড়ে গাছগুলো উপড়ে পথচারী-যানবাহনের ওপর পড়লে প্রাণহানীর আংশকা রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু বড় ও শুকনো ডাল সড়কের ওপর ঝুঁকে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ওই এলাকার ভ্যানচালক জহির উদ্দিন জানান, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আফিলগেট থেকে শিরোমণি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রী বহন করে থাকি। বেশ কিছুদিন আগে গিলাতলা ল্যাটেক্সের রাস্তার পূর্ব পাশে ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় সামান্য ঝড়ে মরা একটি গাছ ভেঙে বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে। এতে দুজন আহত হয়েছিল। আমি অল্পের জন্য রক্ষা পাই।

Advertisement

তিনি বলেন, অনেকদিন যাবত এ গাছগুলো মরা অবস্থায় পড়ে আছে দেখার কেউ নেই। জরুরি ভিত্তিতে গাছগুলো কেটে না ফেললে ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতিসহ হতাহতের আশংকা রয়েছে। ফুলতলা উপজেলা রেঞ্জের বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রজব আলী মোল্যা বলেন, প্রাকৃতিক অথবা মড়কজনিত কারণে গাছগুলো মরে যেতে পারে। যেহেতু গাছগুলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে তাই দেখভালের দায়িত্বও তাদের। এ সমস্যার সমাধান তারাই দিতে পারবে।

তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বনবিভাগের একটি শাখা এগুলো দেখাশোনা করে। এ বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস

Advertisement