করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে চলছে লকডাউন। এরইমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় করোনার টিকা নিতে আগ্রহী সংখ্যা বাড়ছে। এতে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বেশিরভাগের মুখে মাস্ক থাকলেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এর থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন জেলার ৯টি উপজেলায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৫৩৭ জন। এরমধ্যে সদরে ৯১২ জন, কসবায় ১৬০ জন, নাসিরনগরে ৭৬ জন, বিজয়নগরে ১২৬ জন, বাঞ্ছারামপুরে ৪৯ জন, নবীনগরে ২৮১ জন, সরাইলে ৩৪০ জন, আখাউড়ায় ২৬২ জন ও আশুগঞ্জে ৩৩১ জন। এছাড়াও শনিবার প্রথম ধাপের ভেকসিন নিয়েছেন ১৬১ জন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় স্থাপিত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে টিকা নিতে আগ্রহীদের দীর্ঘ লাইন। ভেতরে প্রবেশ করতেই উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে কার্ড নিয়ে যেতে হয় ডাটা এন্ট্রি করতে। সেখানেও মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ডাটা এন্ট্রি হলেই টিকার জন্য ডেকে দেয়া হচ্ছে কার্ড। এর তদারকি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ।
ভিড়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব না থাকলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অবশ্যই থাকে। যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। তবে ভালো খবর হচ্ছে টিকা নিতে আগ্রহী সংখ্যা বাড়ছে। এখানে আমরা রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার দিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেষ্টা করছি। এরপরও অনেকে জোরপূর্বক এসে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা চেষ্টা করছেন। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। তারা আমাদের সহায়তা করবে।’
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪৮৮টি রিপোর্টের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৯ জনের। এরমধ্যে মারা গেছেন একজন ও সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৯ জন, মৃত্যু ৫০জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৮৩৪ জন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমকেএইচ