দেশজুড়ে

খুলনায় করোনায় আরও চারজনের মৃত্যু

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৭ এপ্রিল) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন, খুলনার রূপসা উপজেলার মর্জিনা বেগম (৫১), খালিশপুরের আবু বক্কর ভূঁইয়া (৭৫), দৌলতপুরের যীশু পদ পাল (৭০) ও বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মোশারেফ হোসেন শেখ (৮০)।

ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খুমেকের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা গেছে। করোনা ইউনিটে এখন পর্যন্ত ৭১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যাদের মধ্যে রেডজোনে ৩৬ জন এবং ইয়েলো জোনে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন আটজন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।

Advertisement

হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মৃত আব্দুল খালেক শেখের ছেলে মোশারেফ হোসেন শেখ (৮০) মারা যান। তিনি ১০ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে পূর্ব রূপসার নিকলাপুর এলাকার আবু তালেবের স্ত্রী মজিনা বেগমের (৫১) মৃত্যু হয়। তিনি গত ১২ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনার খালিশপুর হাউজিং এলাকার মৃত শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আবুবক্কর ভূঁইয়ার (৭৫) মৃত্যু হয়। পৌনে ১১ টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৌলতপুর রেলগেট এলাকার মনিন্দ্র নাথ পালের ছেলে যীশু পদ পাল (৭০) মারা যান। তিনি ৯ এপ্রিল খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

এদিকে শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় একদিনে ৫৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও বাগেরহাটের চারজন, যশোরের দুইজন, সাতক্ষীরার তিনজন, নড়াইলের দুইজন, বরিশালের একজন, ফরিদপুরের একজন ও রাঙ্গামাটির একজন রয়েছেন।

আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমকেএইচ