রমজান সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে সারাদিন রোজা রাখার নিয়ত করা হয়। আর সাহরিতে যদি সঠিক খাবার নির্বাচন করা না হয়; তাহলে সারাদিন না খেয়ে থাকতে কষ্ট হয়। যেকোনো সময় শরীরও হয়ে পড়তে পারে অসুস্থ।
Advertisement
সাহরির সময় ভুল খাবার খাওয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, বদহজম, ক্লান্তি, পিপাসার্ত হওয়া অন্যতম। ভুল খাবার খাওয়ার কারণে রোজায় এসব সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে সাহরিতে অতিরিক্ত খাওয়া এবং ভুল খাবার গ্রহণের ফলে সারাদিন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সাহরিতে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়-
ক্যাফেইনজাতীয় খাবার: চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন রোজার মাসে। সারাদিন রোজা রাখার পরে রাতে চা-কফি খেলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে।
Advertisement
এ ছাড়াও বারবার গলা শুকিয়ে আসতে পারে। কারণ চা-কফি শরীরকে পানিশূন্য করে দেয়। ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় তৃষ্ণা এবং শরীরের তাপমাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
ভারী খাবার: সাহরিতে কখনো ভরপেট ভাত, রুটি, পোলাও বা বিরিয়ানি খাবেন না। সারাদিন যাতে ক্ষুধা না লাগে, এজন্য অনেকেই সেহরিতে ভারি খাবার খেয়ে থাকেন। এতে পাকস্থলীর উপর চাপ পড়বে।
মশলাদার খাবার: সাহরিতে সবসময় কম মশলাযুক্ত খাবার খাবেন। ভাজা-পোড়া খাবারগুলো পরিহার করবেন। এসব খাবার কোনো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, জিলাপি, রোল, সামোসা, পরোটা ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে।
কার্বনেটেড পানীয়: সাহরির সময় কোমল পানীয় বা জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসবে কৃত্রিম মিষ্টি থাকে। যা স্থূলত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং আপনার শরীরে অম্লতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
Advertisement
অতিরিক্ত পানি পান করা: রোজার সময় ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত অল্প অল্প করে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। তবে একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। সাহরি খাওয়ার শেষে অনেকেই ২-৩ গ্লাস পানি একসঙ্গে খেয়ে থাকেন।
বরং খাওয়ার আগে পানি খেয়ে নিন। এরপর খাওয়া শেষে আবারো পানি খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না। সেহরি তে অনেক বেশি পানি পান ডেকে আনতে পারে হজমজনিত সমস্যা।
লবণযুক্ত খাবার: প্রক্রিয়াজাত ও লবণযুক্ত খাবার এ সময় খাবেন না। কারন এ জাতীয় খাবার খেলে দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। বিভিন্ন ধরনের চিপস, সল্ট মেশানো বাদাম, চানাচুর ইত্যাদি সাহরির সময় খাওয়া উচিত নয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম