জাতীয়

কমেছে শনাক্ত, বেড়েছে মৃত্যু

দেশে গত এক সপ্তাহে কমেছে করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষা। সেই সঙ্গে কমেছে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যাও। তবে একই সময়ে বেড়েছে মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা।

Advertisement

গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ চলতি বছরের এপিডেমিওলজিক্যাল ১৫তম সপ্তাহে (১১ থেকে ১৭ এপ্রিল) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ হাজার ৩১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৩৬ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ এবং ৬২২ জনের মৃত্যু হয়।

এর পূর্ববর্তী ১৪তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুই লাখ ২০ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ হাজার ৬৬০ জন রোগী শনাক্ত, ২২ হাজার ৬০৩ জন সুস্থ এবং ৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়।

শনিবার (১৭এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

গত দুই সপ্তাহের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও শনাক্ত ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সুস্থতা ৬১ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১৭ এপ্রিল) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন ও নারী ৩২ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৯ জন ও বাসায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জন।

একই সময়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬ হাজার ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৪৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

Advertisement

একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯০৭ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০১ জনের মধ্যে বিশোর্ধ তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৯ জন এবং ষাটোর্ধ ৫৮ জন।

একই সময়ে বিভাগওয়ারি দেখা গেছে, মৃত ১০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রাম ২৩ জন, রাজশাহী দুইজন, খুলনা তিনজন, বরিশাল একজন, সিলেট দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

এমইউ/জেডএইচ/এমকেএইচ