ওয়ার্ড বয়কে মারধর করায় নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রোগীর স্বজনকে পাল্টা মারধর করে আটকে রাখেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা। ওয়ার্ড বয়কে মারধরকারী ক্ষমা চাইলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর চিকিৎসা সেবা আবারও সচল হয়।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বাসিন্দা সেলিম মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে করোনা উপসর্গ নিয়ে নাটোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রাজশাহী নেয়ার প্রস্তুতির সময় মনোয়ারার আত্মীয় উপল এবং দুজন নারী হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন এবং অশালীন ভাষায় কথা বলতে থাকনে। এক পর্যায়ে উপস্থিত হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সেলিম প্রামাণিক প্রতিবাদ করলে উপল এবং দুজন নারী মিলে তাকে মারধর করেন। এ সময় হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা একত্রিত হয়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে ওই তিনজনকে আটক করে এবং উপলকে পাল্টা মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপল ও দুই নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় উপলের দোষ প্রমাণিত হয়। সবার উপস্থিতিতে উপল ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
Advertisement
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার ঘোষ জানান, তিনি ঘটনা জেনে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসার পর দোষ প্রমাণিত হলে উপল ক্ষমা চান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।
রেজাউল করিম রেজা/এসজে/জিকেএস