লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশা চলাচল বেড়েছে। তবে কোথাও তেমন চেকপোস্ট দেখা যায়নি।
Advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন চলছে। লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মোড়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। গতকাল শুক্রবারও রমনা, শাহবাগ, মহাখালী এলাকায় পুলিশকে তদারকি করতে দেখা গেছে। তবে আজ (শনিবার) মহাখালী, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রমনা, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়নি।
সকাল সাতটায় বাড্ডার গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন চালক মজনু মিয়া। দুপুর একটার দিকে যাত্রী নিয়ে কারওয়ান বাজারে এসেছেন তিনি। তিনি জানান, লকডাউনে রিকশা চলানো বন্ধ করেননি। লকডাউনের প্রথম তিন দিন বাড্ডার ভেতরের গলি-সড়কে রিকশা চালিয়েছেন। আজ যাত্রী নিয়ে কারওয়ান বাজারে চলে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, রিকশা চলাচল বন্ধ রাখলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আর এই লকডাউনের সময় কেউ ত্রাণ সহযোগিতাও কেউ দেয় না। বাধ্য হয়ে রিকশা চালাচ্ছেন।
Advertisement
তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন সিএনজিচালক জসিম। তিনি জানান, লকডাউনের প্রথম দুদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্টে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন। দুবারই রোগী বহন করায় জরিমানা থেকে বেঁচেছেন। তবে আজ স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছেন।
শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট মহসিন আলী। তিনি বলেন, ‘অনেকেই জীবিকার তাগিদে এবং জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়েছেন। যেসব যানবাহন সন্দেহ করা হয়, সেগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
এমএমএ/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement