ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরীর মরদেহ এখন বনানী কবরস্থানে৷ সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা এ তারকার দাফনকাজে মানা হচ্ছে কড়া স্বাস্থ্যবিধি।
Advertisement
১৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কবরীর মরদেহ বনানী কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে কবরীকে। তার আগে মুক্তিযুদ্ধে এ নায়িকার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে৷
কবরী ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন মাত্র ১৪ বছরে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন কবরী। সেসব নিয়ে তার অনেক স্মৃতি রয়েছে। যা তিনি তুলে ধরেছেন তার লেখা বইতেও।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতির চর্চাকে সঙ্গী করে।
১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। তারপর টেলিভিশন ও সবশেষে আসেন সিনেমায়।
কবরী ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন।
ব্যক্তিজীবনে কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সে দাম্পত্যজীবন ভেঙ্গে যায়৷ পরে ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী ছিলেন পাঁচ সন্তানের জননী।
Advertisement
এলএ/এমএস