ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে অন্যান্য বছরের তুলনায় ১২ গুণ বেশি পণ্য মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগর বাজার মনিটরিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এরপর তিনি নিউমার্কেট কাঁচা বাজার, মোহম্মদপুর টাউনহল এবং টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায়। আমরা এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রমজান উপলক্ষে তিন-চার মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ করে টিসিবির মাধ্যমে অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বেশি প্রস্তুতি রেখেছি। প্রতিটি পণ্যের আমাদের ১২ গুণ বেশি মজুত রয়েছে। সাধারণ যে মার্কেটটি টিসিবির বাইরে সেখানেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি, এলসি পরীক্ষা করেছি। যাতে ইম্পোর্ট বেশি থাকে এবং স্বাভাবিক সাপ্লাই থাকে, সেক্ষেত্রেও আমরা সাকসেসফুল।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘এবার আমাদের নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। লকডাউনের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। আজ মূলত বের হয়েছি টিসিবি, ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসনসহ যারা কাজ করছেন তাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য। আমরা কেউ বসে নেই, সবাই একসঙ্গে কাজ করব। টিসিবি ভালোভাবে চলছে, ভোক্তা অধিকারের টিম মাঠে আছে এবং প্রশাসনের অনন্যান্যরাও মাঠে আছেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের মোটিভেট করেছি রোজার মাসে স্বাভাবিক যে কেনাবেচা হয় লাভ সেটুকুই করবেন, এর বেশি করতে গেলে আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব এবং শাস্তি দেব।’
টিসিবির ট্রাক সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে ঢাকায় যে সংখ্যক ট্রাক ছিল তার চেয়ে এখন অনেক বেশি ট্রাক রয়েছে। এখন প্রায় ১৩০টি ট্রাক ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে, আর সারাদেশে ৫০০ এর বেশি টিসিবির ট্রাক নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। প্রয়োজনে আমরা আরো ট্রাক বাড়াবো, আমাদের ডিলার ও ট্রাক দুটোই রেডি আছে।’
Advertisement
আইএইচআর/ইএ/জিকেএস