রোজা পালনকারীর জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত। জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম আমলও রোজা। আবার নিঃসন্দেহে আল্লাহর দিদার পাওয়ার মাধ্যমও এটি। রোজার বিনিময়ে জান্নাত পাওয়ার বিষয়টি হাদিসের একাধিক বর্ণনায় ভিন্ন ভিন্নভাবে ফুটে ওঠেছে-
Advertisement
> জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম রোজা
রোজাদারকে জান্নাত দান করা আল্লাহর দায়িত্বে পরিণত হয়। রমজান মাসের রোজা রাখা জান্নাত পাওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করল, জাকাত আদায় করল, রমজান মাসে রোজা রাখল, তার জন্য আল্লাহর উপর ওই বান্দার অধিকার হলো- তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো।’ (বুখারি)
Advertisement
> বিশেষ সম্মানে জান্নাত দান
যারা প্রকৃত রোজাদার তাদের জন্য থাকবে বিশেষ জান্নাত। যে জান্নাতে সব রোজাদারের প্রবেশের পর ওই জান্নাতের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হবে। রোজাদারের জন্য এটি বিশেষ সম্মান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে রাইয়ান। কেয়াতের দিন রোজাদারগণ এ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা ব্যতিত কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। ঘোষণা করা হবে- রোজাদারগণ কোথায়? তখন তারা দণ্ডায়মান হবেন; তারা ব্যতিত এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না। রোজাদাররা প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কেউ ওই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।’(বুখারি)
> জান্নাত পাওয়ার আমল
Advertisement
জান্নাত প্রত্যাশী সাহাবায়ে কেরামকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রাখার আমল করতে বলতেন। আবু উমামা নামে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন, যার কারণে আমি জান্নাতে যেতে পারি। তিনি বললেন, তুমি রোজা রাখ। কেননা এর সমমর্যাদার কোনো ইবাদত নেই।’ (নাসাঈ)
রোজায় জান্নাত পাওয়ার বিষয়টি অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এর মধ্যে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের বিশেষ সুযোগ। রোজা গোনাহ থেকে মুক্তির ঢাল ও দুর্গ। এসবই জান্নাত পাওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথ নির্দেশনা মেনে রোজা পালন করা। রোজা রেখে যাবতীয় অন্যায় ও পাপাচার থেকে বিরত থাকা। এমনকি কথাবার্তা ও খোশ গল্পের ছলে অযৌক্তিক কথা বলা থেকে বিরত থেকে সঠিক কথা বলা সঠিক কাজ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে হক আদায় করে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। রোজার আমল করে প্রতিদান হিসেবে গোনাহমুক্ত থেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত সুনিশ্চিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস