দেশজুড়ে

বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক পর্যায়ে সম্মেলন রোববার

যশোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক পর্যায়ে সম্মেলন। এ সম্মেলনে সীমান্তের ইছামতি ও কালিন্দী নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, নষ্ট ও হারানো পিলার পুনঃস্থাপনসহ সাতটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।রোববারের এ সম্মেলনে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কালেক্টরেট মন্মিত নন্দার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শনিবার বেনাপোলে সীমান্ত দিয়ে যশোরে আসার কথা রয়েছে। রোববার যশোরে এক যৌথসভা শেষে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করা হবে।সূত্র মতে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের যশোর, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে ইছামতি ও কালিন্দী নদী প্রবাহিত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই দুই নদীর সীমানা চিহ্নত করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটা পুনরায় চিহ্নিতকরণ, বাঁধ সংস্কার করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী পিলার স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি যৌথ সম্মেলনে আলোচনা হবে। এছাড়া নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, সীমান্তে গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ, বন্দি বিনিময়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাৎক্ষণিক হস্তান্তর এবং নষ্ট বা হারানো পিলার পুনঃস্থাপন এই বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে আলোচনা হবে।যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ সোহেল হাসান জানান, যশোর-সাতক্ষীরা-ঝিনাইদহ সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ওপারের উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ বৈঠক হবে। এর আগে একটি বৈঠক উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অংশ নেন।তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কালেক্টরেট মন্মিত নন্দার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২৮ নভেম্বর বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। তারা পরদিন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। এ বৈঠকে যশোর, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক উপস্থিত থাকবেন।মিলন রহমান/এআরএ/এমএস

Advertisement