জাতীয়

নির্দেশনা ভেঙে হোটেলে টেবিলে খাবার পরিবেশন করায় জরিমানা

সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পৃথক ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে হোটেলে বসিয়ে খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অনুমোদনবিহীন দোকান খোলা রাখায় মোট ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

Advertisement

ডিএসসিসির আঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) মেরিনা নাজনিন সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি ২৭, পান্থপথ, সোনারগাঁও রোড, বেইলী রোড ও মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ধানমন্ডি ২৭ এ বিকেল তিনটার পরেও একটি চশমার দোকান খোলা রাখায় তিন হাজার টাকা, বিনা কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় মালিককে এক হাজার টাকা এবং বেইলি রোড এলাকায় অনুমোদনবিহীন ফুটপাতের ওপর জিলাপি ভাজা ও বিক্রির দায়ে এ-ওয়ান বেকারিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো-এর তত্ত্বাবধানে ফকিরাপুল বাজার, মুগদা কাঁচাবাজার, ওয়াসা বাজার ও মান্ডা মেইন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরায় ১০ ব্যক্তিকে সাময়িক সময় আটকে রেখে পরবর্তীতে তাদেরকে মাস্ক পরিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় শারীরিকভাবে অক্ষম এমন আরও কয়েকজনকে মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং অননুমোদন ছাড়া দোকান খোলা রাখায় প্রায় ১০০ ব্যক্তি ও দোকানকে সতর্ক করা হয়।

অঞ্চল -৬ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার নগরীর নন্দী পাড়া বাজার এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং লকডাউনে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ করেন।

Advertisement

এ ছাড়া সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-৬ এর ডেমরা, সারুলিয়া, ডেমরা ষ্টাফ কোয়ার্টার ও বনশ্রীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় তিনটি মামলায় ৭ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, ডেমরা, কোনাপাড়া, শনির আখড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ করে বেলা ৩টার পরেও দোকান খোলা রাখা, হোটেলে বসিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা, সরকারঘোষিত অনুমোদিত দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকান খোলা রাখায় আদালত ৫টি মামলা দায়ের এবং সর্বমোট ১৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বেলা ৩টার পরেও দোকান খোলা রাখায় শতাধিক দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবীর ত্রপা অঞ্চল ৩ এর আওতাধীন মৌলভীবাজার, চকবাজার ও ইসলামবাগ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় দুই মামলায় এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনগণ লকডাউন মেনে চললেও দুই-এক জায়গায় সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ করে হোটেলে বসিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা, বেলা ৩টার পরেও দোকান খোলা রাখা এবং অননুমোদিত দোকান খোলা রাখায় আজ ৫টি মামলা দায়ের করেছি। এসব মামলায় ১৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে।’

Advertisement

এমএমএ/এএএইচ/জেআইএম