করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের (সর্বাত্মক লকডাউন) তৃতীয়দিন চলছে আজ (শুক্রবার)। একই সঙ্গে আজ জুমার দিন। এদিন দুপুরে জুমার নামাজের সময় অনেককেই বিনা প্রয়োজনে বাইরে ঘুরতে দেখা গেছে। এমনকি কেউ কেউ মেট্রো রেলের পিলারের ছবি তুলতেও বেরিয়েছিলেন।
Advertisement
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ এলাকার গলিগুলোর রাস্তার ধারে সবজি ও মাছের দোকান বসেছে। প্রতিটিতেই লোক সমাগম।
মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ের ফলমূল, খাবারের দোকানগুলোও খোলা। মানুষ কেনাকাটা করছে। রিকশাও চলছে হরদম। সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িও রয়েছে রাস্তায়।
দুপুর দেড়টার সময় মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ের ওভারব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে মেট্রো রেলের পিলারের ছবি তুলছিলেন রইছ উল্লাহ নামে এক তরুণ। পুলিশ নির্দেশিত ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়াই বাইরে বেরিয়েছেন এ তরুণ।
Advertisement
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এর আগের লকডাউনে জোস জোস শট পাইছিলাম। এখন যে মানুষ আছে, আগের লকডাউনে এত মানুষও ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বন্ধুর একটা ট্রাইপড আমার কাছে ছিল। সাইকেলে করে মিরপুর ১ নম্বরে তাকে দিয়ে এলাম। এখন বাসায় যাচ্ছি। রাস্তা ফাঁকা দেখলাম। এই ফাঁকা সময়ে মেট্রোরেলের কয়েকটা ছবি নিতে এলাম। কারণ, এরকম ফাঁকা তো আর পাওয়া যাইবো না। আমি পুলিশের পাস নিয়ে বের হই নাই। কারণ, এখন নামাজের সময়। পুলিশের এতো কড়াকড়ি থাকব না। পুলিশের হ্যারাজমেন্টও হইল না, আবার কাজটাও করে ফেললাম, ছবিও তুলে নিয়ে গেলাম।’
মিরপুর ১০ নম্বরের একটি দোকানে কাজ করেন নিরব। পকেটে মাস্ক রেখে ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়াই মিরপুর ১০ নম্বরের মোড়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘দিনের এই সময় আমার এক ঘণ্টা ছুটি থাকে। তাই ঘুরতে বেরিয়েছি।’
বাইরে বের হওয়ার জন্য পুলিশের পাস নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাইরে আসতে পাস লাগব ক্যা? মাস্ক সঙ্গে থাকলেই হয়। আমার পকেটে মাস্ক আছে। পুলিশ ধরলে বলব, আমি দোকানে কাজ করি। বিশ্বাস না করলে দোকানে আসেন।’
Advertisement
নামাজের পর রাস্তায় উঠতি বয়সী তরুণদের আড্ডাবাজি-ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যায়।
পিডি/এসএস/এইচএ/এমএস