করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। দেশটিতে এক বছরের বেশি সময়ে করোনায় কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও।
Advertisement
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ জন। ইতোমধ্যেই সেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৭৭১ জন। বর্তমানে ব্রাজিলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৩। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৩১৮ জন।
দেশটিতে করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময়ে প্রায় দেড় হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই মহামারিতে এক বছর বয়সী সন্তানকে হারিয়েছেন জেসিকা রিকার্টে। সরকারি এক হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৩শ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
যখন জেসিকার সন্তানকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান তখন চিকিৎসকরা তাকে করোনার পরীক্ষা করাতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ সে সময় তার দেহে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু এর দু'মাস পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েই তার সন্তানের মৃত্যু হয়।
Advertisement
অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটছে। শুরুর দিকে কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। আর এর ফলাফল হচ্ছে মৃত্যু।
ফাতিমা মারিনহো নামের এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা আছে যে, শিশুদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কম। কিন্তু তিনি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখেছেন, শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অবাক করার মতো।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্রাজিলে ৯ বছরের কম বয়সী ৮৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৮ জনই এক বছরের কম বয়সী। কিন্তু মারিনহো বলছেন, সরকারি হিসাবে যা দেখানো হয়েছে দেশটিতে তার চেয়ে দ্বিগুণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement