নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়েছিলেন আইনজীবীরা। তিনি বলেছিলেন, ‘এবার যদি হেরে যাই তাহলে আমার হ্যাটট্রিক হবে। তাই আইনজীবীদের কাছে আমি শেষবারের মতো ভোট চাই।’ এরপর ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৬ মার্চ তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হন।
Advertisement
হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ই ১২ এপ্রিল তার নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেয়। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে তার নামফলক টানানো হয়। কিন্তু নামফলক টানানো কক্ষে থাকা সভাপতির চেয়ারে তার আর বসা হয়নি। তার মৃত্যুতে মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অসংখ্য মানুষ আবেগী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাবেক আইনমন্ত্রী, ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় আব্দুল মতিন খসরু অসাধারণ একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, ‘এমনটি কথা ছিল না স্যার। কত স্মৃতি, কত পরিকল্পনা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় ICAPP সম্মেলনে ৩দিন একটানা আপনার সান্নিধ্যে ছিলাম। সে সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও ছিলেন। দেশ নিয়ে, বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আপনার ভাবনাটি শেয়ার করেছিলেন উনি।’
Advertisement
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন কমিটির সভাপতি সেদিন উপস্থিত ছিলেন না। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই মারা গেলেন। এটা আইনজীবীদের জন্য খুবই কষ্টের।’
আইনজীবী এম শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যখন জানলাম যে স্যারকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে, তখন থেকেই মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। গত মাসের ১৩ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে পরদিন অর্থাৎ ১৪ মার্চ খসরু স্যার আমাদের সাথে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ১৫ মার্চ স্যার কোভিড টেস্ট করালে পজিটিভ রেজাল্ট আসে। স্যার সিএমএইচে ভর্তি হন। স্যারকে আইসিইউতে নেয়া হয়। রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। অবস্থার উন্নতি হলে স্যারকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার আইসিইউতে। গতকাল ২৩ এপ্রিল লাইফ সাপোর্টে। এরপর স্যার আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিলেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আবদুল মতিন খসরু স্যার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত ৫ বারের এমপি। তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার চলে যাওয়া আইন অঙ্গন ও দেশের রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। মহান আল্লাহ আবদুল মতিন খসরু স্যারকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।’
ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্যারের স্নেহধন্য হবার সুযোগ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিকে আরও উচ্চতায় নিতে হবে এটা আপনার সংকল্প ছিল। আমার মরহুম সিনিয়র খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদের প্রতি ছিল আপনার অগাধ শ্রদ্ধা। আল্লাহ আপনাকে বেহেশতের উচ্চতম মাকাম প্রদান করুন। আমিন।’
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার অভিভাবক আমাদের খসরু ভাই আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।’
আইনজীবী তাপস গোপাল ঘোষ লিখেছেন, ‘সবাইকে কাঁদিয়ে করোনার কবলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু স্যার। স্যারের এ প্রস্থান আইনজীবীদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে লিখেছেন, ‘প্রস্তুত ছিলাম না স্যার!! মনে করেছিলাম আবার দেখা হবে!! আবদুল মতিন খসরু স্যার আর নেই। আমি তার আত্মার সদগতি কামনা করছি। আমার জানামতে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন।’
আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আমার দেখামতে তিনি বিনয়ী, সজ্জন ও সালাত আদায়কারী মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করুন ও জান্নাত নসীব করুন।’
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি ইন্তেকাল করেছেন। আমরা একজন ভালো মানুষ, মুরুব্বি হারালাম। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন।’
আইনজীবী জেআর খান রবিন লিখেছেন, ‘মি. আবদুল মতিন খসরু স্যার আর নেই। আইন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের আরেক নক্ষত্রের বিদায়।’
ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কোনো আইনজীবী হয়তো ছিল না, যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরু স্যারের সুস্থতার এবং তার ফেরত আসার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে দোয়া করেনি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তার প্রিয় বান্দাকে তার কাছে নিয়ে গেলেন। মহান আল্লাহ স্যারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করুন। আমিন।’
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব লিখেছেন, ‘স্যার এমন তো কথা ছিল না! বলেছিলেন এবার সভাপতি হতে পারলে কত কিছু করবেন। আমাদের বলেছিলেন আপনারা সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমরা শপথ করেছিলাম এবার আপনাকে আমরা নির্বাচিত করব। দেশের আইনজীবী সমাজ সে কথাটি রেখেছে। সভাপতি ঠিকই হলেন। দায়িত্ব নিলেন। কিন্তু আপনাকে চেয়ারের আসনে দেখতে পারলাম না। কষ্টে বুকটা ভেঙে যাচ্ছে। তবুও আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে আপনি আল্লাহর কাছে ভালো থাকুন।’
আইনজীবী এএম জামিউল হক ফয়সাল লিখেছেন, ‘চলে গেলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্মানিত সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু স্যার। এই ছবিটিই ছিল স্যার নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ আইনজীবীদের সাথে প্রথম ও সম্ভবত শেষ ছবি! চলে যাবেন বলেই হয়তো এবারের নির্বাচনে তিনি আইনজীবী ও সমাজের নেতৃত্বে আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে চমৎকার কথাগুলো বলতেন! সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি হিসেবে আপনার কাছে সাধারণ আইনজীবীদের অনেক কিছুই হয়তো মিস করবে! ভালো থাকুন স্থায়ী ঠিকানায়! আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করুন।’
আইনজীবী তাপসী লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির চেয়ারে আর বসা হলো না মানুষটার। বর্ণিল জীবনের অবসান হলো। আল্লাহ তাকে ডেকে নিলেন। আল্লাহ উনাকে রহমত দান করুন আর গুনাহ মাফ করে দিন, জান্নাতবাসী করুন। আমিন।’
আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান তার ফেসবুকে বলেন, ‘করোনার এ সময়ে শুধু সুপ্রিম কোর্টের কয়েকশ আইনজীবী মারা গেছেন। গত একমাসের মেসেজ চেক করে দেখলাম ২০ জন আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু এমপি স্যার মারা গেছেন। সভাপতি নির্বাচিত হবার পর একদিনের জন্যও চেয়ারে বসতে পারলেন না। এ মহামারি আইনাঙ্গনকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে। হে আল্লাহ, আপনি মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী আইনজীবীগণসহ সকল মুসলমানকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।’
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের একান্ত সহকারী জিবরুল হাসান লিখেছেন, ‘বিদায় আব্দুল মতিন খসরু স্যারের! একজন অমায়িক, ভদ্র এবং নামাজি মানুষ ছিলেন তিনি। কোর্টের বারান্দায় দেখা হলে সালামটা আগে দিতেন, কুশলাদি বিনিময় করতেন। ছোট-বড় সবাইকে ‘আপনি’ করে সম্বোধন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সদ্যনির্বাচিত সভাপতি।
ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ আহমেদ লিখেছেন, ‘বাসায় গেলে কখনোই না খাইয়ে ছাড়তেন না। ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন অমায়িক। মানুষ হিসেবে সৎ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ভাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। দেখা হলেই দূর থেকে তার মতো করে আর নাম ধরে ডাকবেন না কেউ। আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাত দিও....।’
বেসরকারি টিভি বাংলাভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ সরোয়ার হোসেন ভূঞা লিখেছেন, ‘কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, সাবেক আইনমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে একমাত্র তিনিই ছিলেন জয়ী। ৯৬ সালে সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি আইনমন্ত্রী হন। মন্ত্রী হিসেবে জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের বিল উত্থাপনের সময় তার যে বক্তব্য, পক্ষ-বিপক্ষের সবার আবেগেই কাঁপন ধরিয়ে ছিল।’
দীপ্ত টিভির সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুর রহমান পান্নু লিখেছেন, ‘সাবেক সফল আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। অনেক বড় মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী। হাইকোর্টের করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে থেমে গিয়ে বলতেন, কী খবর সাংবাদিক সাহেব! আর মোবাইল করে কোনো বিষয়ে মতামত নিতে চাইলে খুব সহজেই সময় দিতেন। অনেক সময় কুমিল্লায় থাকলে খুব বিনয়ীভাবে বলতেন, আমি যে কুমিল্লাতে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা সহকর্মীরা ফুল দিতে যাই। তিনি ফুল না নিয়ে আগে নিজ হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন আমাদের। এরপর ফুল নিলেন। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুক। আমিন....’
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মো. মাসুদুর রহমান লিখেছেন, ‘কে জানতো, এবার জেতার পরও চেয়ারে বসতে পারবেন না সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। সোমবার দুপুরে দায়িত্ব নিলেন ভার্চুয়ালি। বুধবার বিকেলে সৃষ্টিকর্তার কাছে চলে গেলেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে তার বাসায় গিয়েছিলাম সবশেষ। বললেন ভয় পান করোনা... এমন মৃত্যু স্তব্ধতার মোড়কে বেঁধে ফেলে। সুপ্রিম কোর্ট যখন চলেছে, প্রতিদিন দেখা হতো... হাসিমুখে বলতেন, আজ কী নিউজ আছে...!!! আল্লাহ আপনাকে বেহেস্তবাসী করুন খসরু ভাই।’
সাংবাদিক মোহাম্মদ নাসের লিখেছেন, ‘এই পৃথিবী থাকার জায়গা নয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী, পাঁচবারের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, আবদুল মতিন খসরু ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুক।’
একজন শিক্ষক মুহিদুল ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন ভালো মানুষের বিদায়। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুক।’
আইন শিক্ষানবিশ ও মানবজমিনের সাংবাদিক রাশিম মোল্লা লিখেছেন, ‘একজন ভালো মানুষ ও মেধাবী রাজনীতিকের বিদায়। তিনি একজন ভালো মানুষ ও মেধাবী রাজনীতিক ছিলেন। আজকাল এমন মানুষের বড়ই অভাব। এবার তৃতীয়বারের মতো তিনি যখন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য মনোস্থির করেন, আমার মতো অনেকেই নির্বাচনের আগেই তিনি জয়ী হবেন বলে মন্তব্য করেন। সত্যিই তিনি জয়ী হন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণ না করেই চলে গেলেন। আল্লাহ তুমি তার ভুলগুলো ক্ষমা করে জান্নাত নসিব কর।’
এফএইচ/এমএইচআর/বিএ/জেআইএম