সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে বুধবার (১৪ এপ্রিল) রংপুরে কড়া অবস্থানে ছিল প্রশাসন। দিনভর নগরীর মূল পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়াও পরিচালনা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
প্রশাসনের কঠোরতায় রংপুর পরিণত হয় এক ফাঁকা নগরীতে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরেও তেমন লোকজন বের হয়নি। তবে কাঁচা বাজারে ও ইফতার সামগ্রী কিনতে দোকানে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। নগরীর বিপণিবিতান, শপিংমল ও ছোট-বড় সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নিস্তব্ধ ছিল রংপুর শহর। নগরীর স্টেশন রোড, আরকে রোড, মেডিকেল মোড়, মর্ডান মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সব দোকান ছিল বন্ধ।
তবে পাড়া মহল্লার মুদি দোকান ও হোটেল আংশিক খোলা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে লোকজন ঘরের বাইরে বের হলেও পয়েন্টে পয়েন্টে পড়তে হয়েছে পুলিশের জেড়ায়।
তবে কাঁচা বাজার এলাকায় দেখা গেছে কিছুটা ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকেই মানুষজন কেনাকাটা করেছেন। পরে সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এবং লকডাউন মেনে চলতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালান।
Advertisement
সড়কে তেমন কোনো পরিবহন চোখে না পড়লেও থ্রি-হুইলার, সিএনজি, অটোবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার এবং জরুরি সেবার গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও শহরে টহল অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অহেতুক বাইরে বের হতে নিষেধ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে লকডাউন মেনে চলতে বুধবার বিকেলে নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধাসহ অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, লকডাউনে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মানাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ সকল নিয়ম মেনে চললে আমরা সবাই সুস্থ থাকবো, বিপদমুক্ত থাকবো।
Advertisement
জিতু কবীর/এসএমএম/এমএস