আইন-আদালত

সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি আবদুল মতিন খসরু আর নেই

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু আর নেই।

Advertisement

বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। এর আগে গত ৩১ মার্চ শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে আনা হয়েছিল। এরপর আবার অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

গত ২৮ মার্চ রাতে আইসিইউতে নেয়া হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে। এরপর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, গত ১ এপ্রিল করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়।

গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ওইদিন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২১-২২ সেশনের নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন মতিন খসরু। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফজলুর রহমানকে পরাজিত করে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।

আবদুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে আইনপেশা শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে আইনপেশায় যুক্ত হন। এরমাঝে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুডিচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

একপর্যায়ে আইনপেশার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির সাথে জড়িত হন আবদুল মতিন খসরু। বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য আবদুল মতিন খসরু মোট পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ছিলেন আইনমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু সর্বশেষ ২০২১-২২ মেয়াদের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন।

এফএইচ/বিএ/এমএস