সিরিয়া সীমান্তে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এর মাধ্যমে বেশ কিছু যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। খবর বিবিসির।এর আগে মঙ্গলবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে রাশিয়ার এসইউ-২৪ বিমানে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করে তুরস্ক। ভূপাতিত করার আগে রুশ বিমানের পাইলটকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল বলে দাবি করে আসছে তুরস্ক। এ দাবির পক্ষে তারা একটি অডিও বার্তাও প্রকাশ করে। তবে ভূপাতিত বিমানের উদ্ধারকৃত পাইলটের দাবি, সে সময় বিমানটি সিরিয়ার আকাশেই ছিল এবং কোনো রকমের সতর্ক সংকেত ছাড়াই গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে।মেদভেদেভ বলেছেন, অর্থনৈতিক এবং মানবিক দিক থেকে তুরস্কের এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়ার পথ খুঁজে বের করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ায় তুরস্কের অর্থনৈতিক স্বার্থের গন্ডি নির্দিষ্ট করে দেয়া কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হতে পারে। একই সঙ্গে খাবারসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ সীমিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন, পরিবহন, বাণিজ্যসহ মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।এদিকে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করায় তুরস্কের সঙ্গে সেনা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এছাড়া সিরিয়ায় বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেয়ার পর পরই ভূমধ্যসাগরীয় ঊপকূলে লাটাকিয়ার কাছে হেমিম বিমান ঘাঁটিতে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে মস্কো। সিরিয়ায় রুশ যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কোনো লক্ষ্যবস্তুকে এটি ধ্বংস করবে।এ ঘটনার পর রাশিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তার কারণে তুরস্ক ভ্রমণে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিয়ে দু দেশের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ও জাতিসংঘ উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।এসআইএস/পিআর
Advertisement