অর্থনীতি

শেয়ারবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে বিএসইসি

কঠোর লকডাউনের মধ্যে (১৪ থেকে ২১ এপ্রিল) বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এই নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এই নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশেষে প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানোর পর এ নিয়ে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেনে বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।

এ বিষয় তুলে ধরে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা নিয়ে কমিশন আলোচনা করেছে। কিন্তু কমিশন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ব্যাংক খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কি সিদ্ধান্ত দেয়, তা দেখে কমিশন আবার আলোচনা করবে।

মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম আরও বলেন, নির্দেশনায় বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এমনও হতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্দর ও শিল্প অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা দেয়ার নির্দেশ দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তবে সাধারণ ব্যাংকিং সেবা চালু থাকলে কমিশন শেয়ারবাজারে লেনদেন চালুর পরিকল্পনা নিতে পারে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হওয়ার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়, দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিএসই’র ট্রেডিং, সেটেলমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।

এর আগে গতকাল সোমবার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আট দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর প্রেক্ষিতে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ সময়ে এটিএম বুথ চালু থাকবে।

Advertisement

ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত আসার পর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংক খোলা থাকা প্রয়োজন। তাই যতদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে ততদিন শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। ব্যাংক খুলে দেয়া হলে শেয়ারবাজারেও লেনদেন চালু করা হবে।

এমএএস/এএএইচ/এএসএম