‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ আগের দিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের জট লেগেছে।
Advertisement
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রী প্রাইভেটকার, সিএনজি, পিকআপভ্যান এবং ট্রাকে করে যাতায়াত করছেন।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনে অনেকেরই অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষেরও কাজকর্ম থাকবে না। তাই অনেকেই গ্রামে রওনা দিয়েছেন। এছাড়া ব্যাংক, অফিস-আদালতও বন্ধ থাকবে। তাই অনেকেই ব্যাংকে টাকা তোলাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাইরে বের হয়েছেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট লেগেছে। একইভাবে জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি এবং ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত যানজট দেখা গেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পল্টন এবং গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তানের প্রতিটি সড়কে যানজট দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, দোলাইপার এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগেছে।
Advertisement
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে গুলিস্তানে এসেছেন কামাল হোসেন। তিনি জানালেন, শান্তিনগরে একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন কামাল। লকডাউনে তার অফিস বন্ধ থাকবে। এই বন্ধের সময়টি গ্রামের বাড়িতে কাটাতে রওনা দিয়েছেন তিনি।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় কুমিল্লাগামী বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তন্ময় শেখ। এক ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে তিনি কোনো বাস পাননি। তন্ময় বলেন, লকডাউনে ঢাকা থাকার উপায় নেই। তিনি যে মেসে থাকতেন, সবাই গ্রামে চলে গেছেন। এখন যেভাবেই হোক তাকে বাড়ি যেতে হবে।
এমএমএ/এমআরআর/জিকেএস
Advertisement