আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে রোজা শুরু

সোমবার (১২ এপ্রিল) রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোজা শুরু হয়েছে। একইভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোতেও।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নানান বিধিনিষেধের মধ্যে রমজান পালন করছেন বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ায় বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। তিনি বলেছেন, ‘বছর ঘুরে আবারও পবিত্র রমজান মাস আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। এমন এক সময়ে আমরা এই মাসটি পালন করছি, যখন করোনা মহামারিতে বিশ্ব বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।’

সৌদি আরবে রমজান মাসে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশটির সরকার। সে অনুযায়ী, মদিনায় মসজিদে নববী ও মক্কার মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করতে হলে অবশ্যই করোনা টিকা নিতে হবে বা করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কমপক্ষে ১৪ দিন অতিবাহিত হতে হবে।

Advertisement

পাশাপাশি, এ মাসে যারা ওমরাহ পালন করতে চান, তাদেরও একই নিয়ম মানতে হবে।

এছাড়া জনসমাগমপূর্ণ স্থানে ইফতার ও সেহেরির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিরুৎসাহিত করা হয়েছে ইতিকাফও।

একইভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে রমজান মাস।

এ বছর ইউরোপে পুরোপুরি গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগেই রমজান শুরু হয়েছে। গতকাল ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ইতালির বিভিন্ন মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সবই সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে।

Advertisement

এ ব্যাপারে তরপিনাত্তারা টিএমসি মসজিদের খতিব মাওলানা হুমায়ুন রশিদ রাজী বলেন, ‘করোনার জন্য কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। ইতালির আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বছর আমরা খতম তারাবি আদায় করছি না। এশার নামাজ আদায়ের পর তারাবি আট রাকাত পড়ানো হচ্ছে। যেহেতু রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ রয়েছে। তাই সুরা তারাবি পড়ানো হচ্ছে এবং রাত দশটার মধ্যে নামাজ শেষ করা হচ্ছে।’

তিনি বাংলাদেশি মুসলিমসহ অন্যান্য দেশের মুসলিমদের প্রতি অনুরোধ জানান তারাবিসহ বাকি নামাজগুলো বাসায় গিয়ে পড়ে নিতে।

এমএইচআর/জেআইএম