বাংলাদেশ সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ নারী ক্রিকেটারের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আরটি পিসিআর ল্যাবের সুপারভাইজার ডা. শান্তনু দাস।
Advertisement
জানা গেছে, সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ইমার্জিং দলের ক্রিকেটাররা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। সোমবার রাতেই ওসমানী মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ নারী ক্রিকেটারসহ ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
কলেজের ল্যাব সূত্র জানায়, সোমবার ওসমানীর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন করেনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট জেলার ১৯ জন রয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচজন নারী ক্রিকেটার রয়েছেন। তারা হলেন- লি জোনস, সিনালাে জাফটা, মাতসিপি মার্সিয়া লেটসালাে, নবলুমকো বানেটি ও রবিন সার্লি।
এদিকে, সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় সিলেটের আরও ১৯ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জিইবি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে সোমবার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৯ জন, হবিগঞ্জের ২০ জন, সুনামগঞ্জের ১১ ও মৌলভীবাজার জেলার ৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে সিলেট বিভাগে সোমবার রাতে মোট ১১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
Advertisement
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল। সিরিজের একমাত্র ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়ায় ওই দিনই ঢাকা থেকে তারা সরাসরি সিলেট আসেন। আফ্রিকার নারী দল ওঠে সিলেটের পাঁচ তারকা মানের হোটেল রোজভিউয়ে। এ হোটেল ছাড়ার আগ মুহূর্তেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল পেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর।
গত ২৮ মার্চ সিলেটে তারা প্রথম কোভিড টেস্টে রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ২৯-৩১ মার্চ এই তিন দিন তারা টিম হোটেলে কোয়ারেনটাইনে থাকেন। কোয়ারেনটাইন শেষে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার কোভিড টেস্টেও তারা সবাই নেগেটিভ হন। দুই দফা কোভিড টেস্ট শেষে ১-৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনুশীলন শেষে ৪ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কাছে ম্যাচ হারে সফরকারি প্রোটিয়া নারী ক্রিকেট দল।
এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৬ এপ্রিল, তৃতীয়টি ৮ এপ্রিল ও চতুর্থ ম্যাচটি ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ এপ্রিল সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি না খেলেই লকডাউনের কারণে ১৩ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে বিমানের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল তাদের। আর সে অনুযায়ী ১২ এপ্রিল তৃতীয় দফায় কোভিড টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছিলেন তারা।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ
Advertisement