সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি উপাধি পেলেন দেশের ফোক সম্রাজ্ঞীখ্যাত গায়িকা মমতাজ বেগম। ভারতের তামিলনাড়ুর ‘গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি’ তাকে এ সম্মাননা জানিয়েছে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য।
Advertisement
গত শনিবার ১০ এপ্রিল গায়িকা ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। মমতাজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ (১২ এপ্রিল) ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেখানে এক স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, সারা পৃথিবীতে একমাত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রকাশিত আট শতাধিক অ্যালবামের বিশ্ব রেকর্ড, সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবৎ বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা, লোকজ সংগীতকে আধুনিকায়ন করে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করা, চলচ্চিত্র সংগীতে একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তি তথা দেশি বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা অর্জন, সমাজ সচেতনতামূলক নানামুখী গানের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকাসহ সার্বিক মূল্যায়নে মমতাজ বেগমকে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. পি ম্যানুয়েল সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদকে ভূষিত করেন।
এই স্ট্যাটাসের নিচে এসে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন মমতাজকে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৭৪ সালের ৫ মে। তিনি গানের জগতে আসার আগে প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতির কাছে তালিম নেন। পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে লোকগানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন। বাবা মধু বয়াতি ছিলেন মূলত বাউল শিল্পী।
এদিকে, সংসারে অভাব থাকায় শৈশবে বাউল গান গাইতেন মমতাজ। এরপর পালাগান, জারিগানসহ বহু গান গেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি।
২০০০ সালে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’-তে ‘রিটার্ন টিকিট হাতে লইয়া আইসাছি এ দুনিয়ায়’ গান গেয়ে পৌছে যান বাংলার গণমানুষের কাছে। এরপর একে ‘ফাইট্টা যায়’, ‘খায়রুন লো’, ‘আগে যদি জানতাম রে বন্ধু’সহ বহু শ্রোতানন্দিত গান তিনি উপহার দিয়েছেন অডিও এবং চলচ্চিত্রে৷
বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ। নির্বাচিত সংসদ সদস্যও।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ