আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। চেকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা অনুদান নিতে পারবেন তারা। ভোটের ৯০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিতে হবে দলকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।মেয়র পদে ব্যক্তিগত খরচ অনধিক ২৫ হাজার ভোটার অধ্যুষিত পৌরসভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা, ২৫ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং এক লাখ ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা যাবে।ইসি সূত্র আরও জানায়, মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় বাবদ এই ভোটার অনুপাতে দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খরচ পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।এছাড়া আসন্ন পৌসভা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের হলফনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রের সঙ্গে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদের অনুলিপিও জমা দিতে হবে।ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদসহ হলফনামা দিতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য অর্থের উৎস ও ব্যয় বিবরণী, ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদের কপি, সম্পদের বিবরণী ও সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের রশিদের কপি দিতে হবে। জামানত জমার কপি এবং প্রার্থীর দলীয় প্রত্যয়নপত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন তালিকা দিতে হবে।ইসির এ কর্মকর্তা জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মেয়ররা স্ব-পদে থেকেও ভোট করতে পারবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রার্থী হতে বাধা নেই। আর সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েও প্রার্থী হওয়া যাবে।এইচএস/এসএইচএস/এএইচ/বিএ
Advertisement