স্বাস্থ্য

‘চিকিৎসায় ফিস্টুলা রোগ ভালো হয়’

লোকলজ্জার ভয়ে অনেক নারী দীর্ঘদিন ধরে ফিস্টুলা রোগে ভোগার পরও চিকিৎসা নিচ্ছেন না। ফলে তাদের জীবন বিষাদময় হয়ে উঠেছে। অথচ চিকিৎসার মাধ্যমে ফিস্টুলা রোগ ভালো করা সম্ভব। কক্সবাজার শহরতলীর চেইন্দাস্থ মা ও শিশু হাসপাতালসহ দেশের ১৯টি হাসপাতালে বিনামূল্যে ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা করা হয়।শুধু তাই নয়, রোগী ও তার একজন সাহায্যকারীর যাতায়াত খরচও বহন করা হয়। তাই ফিস্টুলা আক্রান্ত কোনো নারীর উচিৎ নয় ঘরে বসে থাকার। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সাগরপাড়ের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মহিলাজনিত ফিস্টুলা যোগাযোগে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।কর্মশালায় বলা হয়, নারীদের যৌনি পথ বা মাসিকের রাস্তা দিয়ে যাদের অনবরত প্রশ্রাব ঝরে তারাই ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত রোগী। শতকরা নব্বই ভাগ ফিস্টুলাই সন্তান প্রসবকালে আঘাতের মাধ্যমে হয়ে থাকে। চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সারানো যায়। এর চিকিৎসায় কোনো অর্থই ব্যয় না। বৈদেশিক সাহায্যকারী সংস্থার সহযোগিতায় দেশে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।কর্মশালায় আরও বলা হয়, দেশে প্রতি লাখে ১৭০ জন মা ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফিস্টুলা রোগের জন্য জনসচেতনতার অভাব ও বাল্যবিয়েকে দায়ী করা হয়। তবে প্রধান কারণ হিসেবে ‘দীর্ঘস্থায়ী বা বাধাগ্রস্ত প্রসব’কে দায়ী করা হচ্ছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিস্টুলা সেন্টার ও হোপ ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড উইমেন অব বাংলাদেশ উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিস্টুলা সেন্টারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল আলোচক ছিলেন মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌসি বেগম।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনজেন্ডার হেল্থ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. আবু জামিল ফয়সাল। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হোপ ফাউন্ডেশনের দেশীয় প্রতিনিধি হাসনাইন সাবিহ নায়েক।অনুষ্ঠানে মহিলাজনিত ফিস্টুলা সম্পর্কে জনসাধারণকে জানানোর সুযোগ ও কৌশল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ফিস্টুলা কেয়ার প্লাস প্রকল্পের দেশীয় ব্যবস্থাপক ডা. শেখ নাজমুল হুদা। উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার ২০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন। আয়োজকরা আশা করেন, সংবাদকর্মীসহ সকল মহলের সহযোগিতায় একদিন ফিস্টুলামুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।সায়ীদ আলমগীর/বিএ

Advertisement