দেশজুড়ে

ময়মনসিংহ মেডিকেলে আইসিইউ ১০টি, করোনা রোগী ১৪০ জন

সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস শনাক্ত। এতে প্রতিদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। খালি নেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) বেড। প্রয়োজন হলেও দু-তিনদিন পর মিলছে একটি বেড। আবার অনেকে পাচ্ছেনও না।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মমেক হাসপাতালে করোনার রোগী ভর্তি আছে ১৪০ জন। আর আইসিইউ বেড আছে ১০টি। কিন্তু প্রয়োজন হলেও মিলছে না আইসিইউ বেড। একটি বেড পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত রোগীর এক স্বজন বলেন, ‘তিনদিন সাধারণ বেডে থাকার পর রোববার আইসিইউ বেড পেয়েছি। এখন আমার রোগীর অবস্থা কিছুটা ভালো।’

আরেক রোগীর স্বজন মাহবুব আলম বলেন, ‘গত তিনদিন আগে রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একদিন সাধারণ বেডে থাকার পর অনেক অনুরোধ করে আইসিইউ বেড পেয়েছি।’

Advertisement

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ১০টি। আরও ১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। হাসপাতালে সাধারণ বেড আছে ২১০টি। বর্তমানে হাসপাতালে ১৪০ জন করোনা শনাক্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছে। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার লক্ষণ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট মহিউদ্দিন মুন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। এরা হলেন- ময়মনসিংহের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (৫৪) ও গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (৬৫)।’

এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১১ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৩৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২ জন, নান্দাইলে একজন, মুক্তাগাছায় একজন, ফুলবাড়ীয়ায় একজন, ভালুকায় সাতজন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া হোম আইসোলেশনে আছেন ২৭৯ জন রোগী।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/জিকেএস

Advertisement